বিশ্বকর্মা পুজো মানেই রঙ-বেরঙের ঘুড়ির মেলা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০০: আজ ভাদ্রের সংক্রান্তি, বিশ্বকর্মা পুজো।
বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ঘুড়ি।
প্রচলিত ইতিহাস বলে, চীন থেকেই ঘুড়ির জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল।

ঘুড়ি বাংলায় এসে পুজো-পালা-পার্বণের সঙ্গে মিশে গেল।
বাঙালিকে ঘুড়ি চিনিয়েছিলেন নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ।
সে’সময় কানকাওয়া, চংগ, তুলকল, গুডডি ইত্যাদি ঘুড়ির চল ছিল। ঘুড়ি ওড়ানোর ওপর বাজি ধরা হত, ঘুড়িয়ালরা পুরস্কার পেতেন।

ওয়াজিদ আলিকে দেখে কলকাতার বাবু সম্প্রদায় ঘুড়িকে আপন করে নেয়।
বাবু কালচারে জাঁকিয়ে বসে ঘুড়িবিলাস। বাবুরা ঘুড়ির লড়াইয়ের প্রচলন ঘটায়।

জানা যায়, বাবুদের ঘুড়িতে আটকানো থাকত দশ বা একশো টাকার নোট। কখনও কখনও টাকা দিয়ে ঘুড়ির লেজ বানানো হত।
ববুরা আবার মাঞ্জাহীন সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়াতেন। পাছে তাঁদের হাত কেটে যায়।

দক্ষিণবঙ্গে ঘুড়ির দাপট বৃদ্ধি পেয়েছিল বর্ধমান রাজবাড়ির কল্যাণে।
রাজা মহাতবচাঁদ নাকি নিজেই ঘুড়ি ওড়াতেন।

বাবুদের থেকে ধীরে ধীরে জমিদারদের হাত ধরে গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে ঘুড়ির। আজ তা আম বাঙালির বিনোদন হয়ে উঠেছে।