নিরালায় ছুটি কাটিয়ে আসুন রায়চক থেকে 

ইতিহাস আর বর্তমান, প্রাচীনতা এবং বিলাস— সবটা একাকার হয়ে গিয়েছে গঙ্গার ধারে। চলে আসুন ‘রায়চক অন গ্যাঞ্জেস’-এ।

August 27, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

জায়গাটা আদতে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা। তবে রায়চকে গেলে বুঝবেন, সেটা আসলে একটা আস্ত অভিজ্ঞতা। ইতিহাস আর বর্তমান, প্রাচীনতা এবং বিলাস— সবটা একাকার হয়ে গিয়েছে গঙ্গার ধারে। চলে আসুন ‘রায়চক অন গ্যাঞ্জেস’-এ। পর্যটকদের রুচি-পছন্দ অনুযায়ী রয়েছে আলাদা আলাদা বন্দোবস্ত। 

যদি বেছে নেন গঙ্গা কুটির, শান্ত নদীর ধারে কুঁড়েঘরে থাকার অভিজ্ঞতা হবে। আবার দ্য ফোর্ট রায়চকে অভিজাত ব্যবস্থা। অনয়া কুটিরে থাকলে একটা আস্ত বিল্ডিং দিয়ে দেওয়া হবে আপনাকে। যেখানে পছন্দমতো রান্নাবান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়াও সুইমিং পুল, রিভারসাইড ওয়াক, বোটিং, স্পা— অপশন অঢেল!

পুরো প্রপার্টি এতটাই বিস্তৃত, যে ঘুরে দেখতেই পেরিয়ে যাবে একটা গোটা দিন। ফোর্টের ভিতরটা ঘুরলে দেখতে পাবেন সযত্নে রাখা রয়েছে ইতিহাসের দলিল। ১৭৮৩ সালে জলদস্যুদের প্রবেশ রুখতে গঙ্গার ধারে তৈরি হয়েছিল এই বিশালাকার দুর্গ। ব্রিটিশ জেনারেল রেজিনাল্ড ওয়াটসন তাঁর পরিবার নিয়ে থাকতেন এখানে। স্বাধীনতার পরবর্তীকলে পুরোটাই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। এখনকার বিলাসবহুল প্রপার্টি দেখলে যেটা বিশ্বাস করা কঠিন যদিও! ফোর্টের বেশ কিছু অংশে সেই চিহ্ন রয়ে গিয়েছে। বৈঠকখানা আর দুর্গের চারপাশে কাটা পরিখা দেখলে সেটা মালুম পড়ে!

‘রায়চক অন গ্যাঞ্জস’এর ভিতর রয়েছে বেশ কিছু প্রাইভেট প্রপার্টিও। অনেক শহরবাসীই নিভৃত উইকেন্ড কাটানোর ঠিকানা কিনে রেখেছেন এই ঠিকানায়। ফোর্টে থাকলে যেমন রাজকীয় অনুভূতি হবে, তেমনই গঙ্গা কুটিরে থাকবেন মাটির বড্ড কাছাকাছি। ঘরে বসে কয়েক হাতের মধ্যে গঙ্গা দেখার সুযোগ খুব কম জায়গাতেই মেলে। অনয়া আবার কেতাদুরস্ত! সেখানে নদীর সমান্তরালে তৈরি পুলে নেমে গঙ্গায় গা ভাসানোর অনুভূতি মিস্‌ করা যায় না। 

থাকার পাশাপাশি এখানকার বাফে’র স্প্রেডও লোভনীয়। চাইলে আ-লা-কার্টেও খেতে পারেন। খাঁটি বাঙালি লাঞ্চ হোক বা ইংলিশ ব্রেকফাস্ট, এখানকার সবক’টা কুইজিন চেখে দেখাটা কিন্তু মাস্ট! 

কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার মতো। রায়চকে বেশিরভাগ লোকই নিজেদের গাড়ি ভাড়া করে যান। ডায়মন্ডহারবার রোড ধরে আমতলা পেরিয়ে বাঁ-দিক নিতে হবে। বাসে যেতে চাইলে ধর্মতলা থেকে বাস ছাড়ে। ট্রেনে গেলে শিয়ালদহ থেকে সাউথ সেকশনের ট্রেনে উঠে ডায়মন্ডহারবার রোড স্টেশনে নেমে সেখান থেকে টোটো বা অটো।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen