মৎস্য দফতরের উদ্যোগে বীরভূমে দুয়ারেই সস্তায় রুই-কাতলা

গোটা পরিষেবায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

May 31, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

রাজ্যবাসীর জন্য ‘দুয়ারে সরকার’, ‘দুয়ারে রেশন’-এর পর এ বার দুয়ারের কাছে এল মৎস্য দফতর। সোমবার থেকে রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো বীরভূমের বাসিন্দাদের বাড়ির কাছেই সস্তায় মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে। সৌজন্যে, পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য দফতর এবং রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম।

প্রশাসন সূত্রে খবর, মৎস্য দফতর এবং নিগমের যৌথ উদ্যোগে এই পরিকল্পনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে বিধিনিষেধের জন্য প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দোকান-বাজার খোলা থাকছে। তবে সংক্রমণ এড়াতে অনেকেই বাজারমুখো হচ্ছেন না। করোনা পরিস্থিতি ছাড়া ইয়াসের দুর্যোগের পর মাছের দাম অনেকের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বীরভূমে সাধারণত অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ ভিন্ রাজ্য থেকে মাছ আসে। বীরভূম, বোলপুর, রামপুরহাট, সিউড়ি, সাঁইথিয়ার মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, ভিন্ রাজ্য থেকে আসা মাছের পরিবহণ ও মজুতের খরচ মিলিয়ে দাম না ধরলে মুনাফা কামাতে পারবেন না। ফলে রুই, কাতলা, মিরিক, চিতল, পোনা, পাবদার দাম কেজি প্রতি আড়াইশো থেকে বারোশো টাকাতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে মধ্যবিত্তের পাতে সস্তায় মাছ তুলে দিতে এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

সোমবার বীরভূমের বোলপুর হাটতালা বেসরকারি মাছ বাজারের থেকে সস্তায় মাছ বিক্রি শুরু করেছেন মৎস্য দফতরের কর্মীরা। তাঁদের কথায়, “লাভপুর, রামপুরহাট, নানুর-সহ জেলায় ঘুরি রুই, কাতলা এবং পোনা, এই ৩ ধরনের মাছ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছি। রুই, কাতলা, চারা পোনা ১০০, ৯০ ও ১১০ টাকা কেজি প্রতি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।”

বীরভূমে এ প্রকল্পের দায়িত্বে পেয়েছেন স্থানীয় ব্য়বসায়ী সফিকুল ইসলাম। তাঁর বক্তব্য, “অখিল গিরির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার সর্বত্র মাছ পৌঁছে দিচ্ছি। আশা করি ঘরে ঘরে সস্তায় মাছ বিক্রি করতে পারব।”

গোটা পরিষেবায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। লাভপুরের ইন্দাস গ্রামের এক গৃহবধূ পারমিতা মণ্ডল বলেন, “বাড়ির কাছে এত সস্তায় মাছ! তার উপর বাজারদরের থেকে ৩০-৪০ টাকা কমে পেয়েছি। আমার মতো গ্রামের অনেকেরই উপকার হয়েছে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen