দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল, কী রণকৌশল?

বুথস্তর থেকে দলকে চাঙ্গা করে তোলার পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে ঘাসফুল শিবির

April 9, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বীরভূম জেলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ১০টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয় পেলেও দুবরাজপুর হাতছাড়া হয়েছিল। একমাত্র দুবরাজপুর ফোটেনি জোড়াফুল। প্রায় ২৮০০ ভোটের ব্যবধানে ওই আসনটি জিতে নেয় বিজেপি। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে দুবরাজপুরের আসনটি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তীকালে পঞ্চায়েত ও লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির তুলনায় ভোটের সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়েছে। ছাব্বিশের নির্বাচনেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি তৃণমূলের। বুথস্তর থেকে দলকে চাঙ্গা করে তোলার পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল নেতৃত্ব জেলায় ১১-০ করার ডাক দিয়ে পথে নামছে।

২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের সময় দুবরাজপুর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করেছিল বিজেপি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করে প্রায় ১৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে শাসক শিবির জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। একুশের নির্বাচনে দুবরাজপুরের আসনটি শাসক শিবির ধরে রাখতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে প্রায় ২৮০০ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী অনুপ সাহা জয় নিশ্চিত করেছিলেন। জেলার একমাত্র আসন হাতছাড়া হওয়ায় শাসক শিবির কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছিল। তবে ছাব্বিশের নির্বাচনে পুনরায় ওই আসন নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে।

জেলা তৃণমূল নেতৃত্বর দাবি, একুশের নির্বাচনের পর থেকে ভোটের ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে। বিজেপি থেকে সাধারণ মানুষ সরে গিয়েছে। মানুষ তৃণমূলের উপর আস্থা রাখছে। সাধারণ মানুষ উন্নয়ন চায়। সাধারণ মানুষ শান্তি চায়। শুধুমাত্র নির্বাচনে জয় পাওয়া লক্ষ্য নয়। এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। গোটা জেলার পাশাপাশি দুবরাজপুরেও উন্নয়নের কাজ সমানতালে চলছে। বিধানসভা এলাকার প্রতিটি মানুষ সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন কি না, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দলের কর্মীরা প্রকল্পের তালিকা হাতে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen