টলমলে শিন্দের গদি, মহারাষ্ট্রে ডবল ইঞ্জিন বেলাইন কি সময়ের অপেক্ষা?
মহারাষ্ট্রে পিছন দরজা দিয়ে সরকারের এসেছিল বিজেপি, সৌজন্যে রিসর্ট পলিটিক্স।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মহারাষ্ট্রে পিছন দরজা দিয়ে সরকারের এসেছিল বিজেপি, সৌজন্যে রিসর্ট পলিটিক্স। কিন্তু এক বছরেই মোহভঙ্গ! শিন্দে শিবিরের শিবসেনার জনপ্রতিনিধিরা এখন আর গেরুয়া বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে চান না। মহারাষ্ট্রে একনাথের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ও বিজেপি সরকারের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়।
শোনা যাচ্ছে, শিন্দে শিবিরের শিবসেনার একাধিক বিধায়ক ও সাংসদ অসন্তুষ্ট। বিজেপির প্রতি ক্ষোভের জেরে শিন্দে শিবিরের ২২ বিধায়ক এবং ৯ লোকসভা সাংসদ বেরিয়ে আসতে চাইছেন। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার মুখপত্র সামনায় এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। বিধায়ক ও সাংসদরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে দাবি করেছেন উদ্ধবপন্থী শিবসেনা শিবির। সাংসদ বিনায়ক রাউত বলেছেন, জোটসঙ্গী বিজেপির অসহযোগিতার কারণে বিধায়ক ও মন্ত্রীরা নিজেদের এলাকায় কোনও উন্নয়নের কাজ করতে পারছেন না।
দাবি করা হচ্ছে, প্রবীণ শিবসেনা নেতা গজানন কীর্তিকর নাকি প্রকাশ্যে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে শিবসেনার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। সামনায় আরও বলা হয়েছে, শিন্দে শিবির বিজেপির কাছে লোকসভায় ২২ আসনে লড়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি ৫-৭টি আসন ছাড়তেও রাজি নয়। এতেই জল্পনা ছড়িয়েছে, তবে কি শরিকের এহেন আচরণে শিন্দেপন্থী জনপ্রতিনিধিরা আর বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকতে চাইছেন না!