গরু চুরির সন্দেহে যুবকের গোপনাঙ্গে বিদ্যুতের শক দিয়ে নির্মম অত্যাচার চালাল যোগীর পুলিশ
২ মে তাকে গরু চুরির অভিযোগে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সে তখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। পুলিশের দাবি রোহন গরুপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। বেশ কয়েক ঘণ্টা তাকে লক আপে রেখে পুলিশ নির্মম অত্যাচার চালায় বলে রোহনের পরিবারের অভিযোগ।

যোগী রাজ্য উত্তরপরদেশে পুলিশের বর্বর অত্যাচারের চিত্র আরও একবার সামনে উঠে এল। গরু চুরির অভিযোগে ধৃত ২০ বছরের এক যুবকের উপর পুলিশ লক আপে নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগটি উঠছে বদায়ুঁ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই থানার আধিকারিক-সহ পাঁচ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
ধৃত যুবকের নাম রোহন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহন দিনমজুর। ২ মে তাকে গরু চুরির অভিযোগে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সে তখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। পুলিশের দাবি রোহন গরুপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। বেশ কয়েক ঘণ্টা তাকে লক আপে রেখে পুলিশ নির্মম অত্যাচার চালায় বলে রোহনের পরিবারের অভিযোগ।
পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, তারা রোহনকে ছাড়াতে থানায় গেলে তাদের মুখ বন্ধ রাখতে হুমকি দেয় পুলিশ। পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তাকে ছাড়ানোর পর প্রথমে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে এবং পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় বুলন্দশহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোহনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ লক আপে তার গোপনাঙ্গে বিদ্যুতের শক দেওয়ায় চোট লেগেছে। লাঠি দিয়েও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এফআইআরে সাত জনের নাম ছিল। পরে তদন্তের ভিত্তিতে পাঁচ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।