১০/১১ দিল্লি বিস্ফোরণ : কী ধরণের বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছিল দিল্লি বিস্ফোরণে, তদন্তে কোন তথ্য?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৩৫: দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় বিস্ফোরণ ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। কেমন ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ঘিরে তদন্ত চলছে। তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে দু’টি তাজা কার্তুজ এবং দু’ধরনের বিস্ফোরকের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা মনে করছেন অ্যামেনিয়াম নাইট্রেটের মতো কোনও রায়াসনিক ব্যবহৃত হতে পারে। বিস্ফোরণের পরই নাকি কমলা রঙের আগুনের শিখা দেখা গিয়েছিল যা সাধারণত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে বিস্ফোরণ ঘটলে দেখা যায়। তবে দ্বিতীয় বিস্ফোরকের সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি। পরীক্ষার পরই জানা যাবে।
বিস্ফোরক সম্পর্কে ফরেন্সিক দল এখনও বিস্তারিত রিপোর্ট দেয়নি। ক্ষয়ক্ষতির প্রাবল্য বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মিলিটারি-গ্রেডের বিস্ফোরকের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। পেন্টেরিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট, সেমটেক্স বা আরডিএক্স-এর মতো শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল গাড়িতে, এমনই মত গোয়েন্দাদের। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ডিটোনেটরের ব্যবহারেরও ইঙ্গিত মিলেছে।
যাবতীয় তথ্য এখন অনুমান পর্যায়ে আছে। অন্তত ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, আত্মঘাতী হামলা নয়। স্থানান্তরনের সময় অসাবধানতাবশতই বিস্ফোরণ ঘটেছিল দিল্লিতে। প্রাথমিক তদন্তের পর আরও জানা গিয়েছে, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসটিতেও কিছু ত্রুটি ছিল। সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত বিস্ফোরকের সমমানের বিস্ফোরক থাকা সত্ত্বেও প্রভাব বেশিদূর ছড়ায়নি এই ত্রুটির কারণেই। অন্যথায় বিস্ফোরণ আরও প্রাণঘাতী, আরও ভয়াবহ হতে পারত।