বাংলায় কথা বলার জন্য অন্য রাজ্যে হেনস্থা-গ্রেপ্তার, ভাষা আন্দোলনের ডাক মমতার

দক্ষিণ ২৪ পরগনর কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাট থেকে কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে ভেসেল করে জলপথে রওনা দিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।

July 21, 2025 | 5 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:১২ একুশে জুলাই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট, শহিদ স্মরণ। ধীরে ধীরে ধর্মতলায় ভিড় জমাচ্ছেন দলের কর্মী, সমর্থকেরা। দেখুন প্রতি মুহূর্তের LIVE UPDATE

১৪.১০: শহিদ স্মরণের মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, শতাব্দী রায় এবং বিধায়ক মদন মিত্র। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে তাঁদের তড়িঘড়ি নিকটবর্তী এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত তাঁরা স্থিতিশীল।

১৩.২৬: বক্তব্য রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, গত ৩৩ বছর ধরে এই দিনটি শহিদ তর্পণে মা মাটি মানুষ দিবস হিসাবে, গণতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করি। যেদিন দিল্লিতে পরিবর্তন করে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে বিসর্জন দিতে পারবো, আমাদের সংগ্রাম সেদিন শেষ হবে।

তিনি আরও বললেন, কয়েক বছরে চল্লিশ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছি। ৮ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা দিই। আমরা প্রায় দু’কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে নিয়ে এসেছি। বিচারের বাণী নীরবে কাঁদছে। গোদি মিডিয়া বাংলার কথা বলে না।

তাঁর অভিযোগ, যাঁকে ইচ্ছে বিজেপি এক মাস আটকে রাখতে পারবে। কেন্দ্র সার্কুলার পাঠিয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। বাংলা ভাষার উপর বিরাট সন্ত্রাস চলছে।

তাঁর সংযোজন, কোথায় গেল দুই কোটি চাকরি? কালো টাকা ফিরল? ১৫ লক্ষ টাকা এল? বাংলার রবীন্দ্রনাথ, নজরুলকে জন্ম দিয়েছে। ‘জন গণ মন’ কোথা থেকে এল? কত লোক ভারত থেকে বাইরে চলে গেছেন? বিদেশমন্ত্রক বলছে ১৭ লক্ষ মানুষ ভারত থেকে চলে গেছেন। উত্তর দিতে পারবেন কেন? বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস কেন চালাচ্ছেন? বাংলা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে। নবজাগরণ করেছে। আমরা ভাঙি তবু আমরা মচকাই না। ডবল ইঞ্জিন ভাঙো।

অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা মমতার, তিনি বললেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী আপনি অসম সামলাতে পারছেন না, বাংলায় নাক গলাচ্ছেন? আমরা সবাই যাবো দেখি কত ডিটেনশন ক্যাম্প করেন।

তিনি আরও বললেন, তৃণমূলের সম্পদ কর্মীরা। আমাদের দলের সম্পদ মা মাটি মানুষ। তৃণমূলের সম্পদ কর্মীরা। আমাদের দলের সম্পদ মা মাটি মানুষ। কেন POK দখল করা গেল না? অনুপ্রবেশকারী তোমরা (BJP) ঢোকাও।

 মমতার হুঁশিয়ারি, আমি বাংলা ভাষার উপর অপমান মানব না। জগন্নাথ ধামের অনুকরণে দুর্গা অঙ্গন করব। ২৭ জুলাই নানুর দিবস থেকে প্রতি শনি, রবিবার বাংলা ভাষার অপমান নিয়ে মিছিল, মিটিং করুন। জনতার আদালতে আপনাদের (BJP) জবাবদিহি করতে হবে। খেলা তো আবার হবে। এই খেলা বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার খেলা।এবারের খেলায় বিজেপিকে বোল্ড আউট করতে হবে। ছক্কা মারতে হবে। সিপিএমকে মহাশূন্যে পাঠাতে হবে। আগামীদিন দিল্লিতে পরিবর্তন করতে হবে। শপথ নিন বাংলাকে রক্ষা করবেন। এবারে কেন বৃষ্টি হয় নি জানেন? চোখ দিয়ে জল নয়। আগুন বেরোবে। বাংলার বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির কাছে ধর্ণা দিন সাংসদেরা, খেলোয়াড়, সংস্কৃতি জগতের মানুষদেরও ধর্ণা দিতে বলব। সুপার ইমার্জেন্সি চলছে। তোমরা জরুরি অবস্থা নিয়ে কথা বলো? ভাষা আন্দোলন শুরু হল। বাংলা ভাষার অপমান মানছি না, মানব না।

১৩.০৬: বক্তব্য রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, প্রতি বছরের একুশে জুলাই আগের বছরের একুশে জুলাইকে ছাপিয়ে যায়। বিজেপিকে প্রথম বাংলা বিরোধী বলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ভোটার লিস্টে কারচুপি করতে দেব না। গরিব মানুষের একশো দিনের কাজের টাকা গায়ের জোরে বন্ধ করে রেখেছে বিজেপি। আমাদের অপরাধ আমরা বাংলায় কথা বলি। একশোবার আমরা বাংলায় বলব।

তিনি আরও বললেন, যে বাংলা ভারতকে স্বাধীনতা সংগ্রামে, নবজাগরণে পথ দেখিয়েছে, গোটা উপমহাদেশে যে ভাষা প্রদীপ জ্বালিয়েছে, সে ভাষায় কথা বলা অপরাধ। একুশে বলেছিলাম খেলা হবে, এবার বলছি পদ্ম ফুল উপড়ে ফেলা হবে। আমরা পার্লামেন্টে বাংলায় বক্তব্য রাখবো। দুটোই ই, একটা ইডি আর একটা ইলেকশন কমিশন। বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে আর ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। আমরা বৈচিত্র্যের মধ্যে একতার মূলমন্ত্রে বিশ্বাস করি। বিজেপিকে ছাব্বিশে গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাব।

১৩.০৩: পহেলগাঁওয়ে প্রাণ হারানো বিতান অধিকারীর বাবা-মাকে এবং শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের পিতাকে সম্মান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

১২.৪৯: সভাস্থলে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

১২.৩৬: একুশের মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন উত্তরপ্রদেশ তৃণমূলের নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী

১২.২৭: সভাস্থলে পৌঁছে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

১২.২৫: শহিদ স্মরণের মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা

১২.১৭: শহিদ স্মরণের মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি আরও বললেন, অসমে ডবল ইঞ্জিন বিজেপি সরকার দশ বছর ধরে বিভাজনের রাজনীতি করছে। এই দেশের সবচেয়ে বড় ডিটেনশন ক্যাম্প আছে অসমে। বিজেপি মিথ্যার রাজনীতি করে

১২.১১: শহিদ স্মরণের মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন বীরবাহা হাঁসদা। তিনি আরও বললেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় দিনের পর দিন আদিবাসীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

১১.৫৯: তেরো জন যুবক রক্ত ঝরিয়ে ভোটার কার্ডের অধিকার ছিনিয়ে এনেছিল। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। : মমতা ঠাকুর

১১.৫০: ধর্মতলার মঞ্চে প্রারম্ভিক পর্বের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী

১১.৪৮: হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কলকাতা পুলিশের

১১.৪৫: ধর্মতলার মঞ্চে এসে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।

১১.৪৩: ঘাটালের তৃণমূল মহিলা সমর্থকরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে উপস্থিত একুশে জুলাইয়ের ধর্মতলার সভাস্থলে।

১০.৫৮: হাজরা মোড় থেকে দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেসের সুবিশাল মিছিল রওনা দিল ধর্মতলার উদ্দেশে

১০.৫৬: হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে ধর্মতলার দিকে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সুবিশাল মিছিল

১০.১৩: একুশ জুলাইয়ের গুরুত্ব বর্ণনা, সোশাল মিডিয়া পোস্টে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

  • সকাল ১০.০:  সকাল ১০ টায় একুশে জুলাই শহিদ উদ্যানে

  • সকাল ৯.০৩: দক্ষিণ ২৪ পরগনর কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাট থেকে কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে ভেসেল করে জলপথে রওনা দিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
  • সকাল ৮.৫৯: শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের

  • সকাল ৮.৫০: আসানসোল পৌর নিগমের বরো চেয়ারম্যান ডাক্তার দেবাশিস সরকার নিজেই বাস চালিয়ে সমর্থকদের নিয়ে গেলেন ধর্মতলায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen