নির্বাচনী বন্ডে ২০১৯শেই BJP ভাঁড়ারে আড়াই হাজার কোটি

২০১৮ সালে অনুদানের এহেন মাধ্যম চালু করেছিল মোদী সরকার।

March 18, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
নির্বাচনী বন্ডে ২০১৯শেই BJP ভাঁড়ারে আড়াই হাজার কোটি

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: শীর্ষে আদালতের নির্দেশে প্রকাশ্যে এসেছে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য। তাতে দেখা যাচ্ছে, বন্ড মারফত বিপুল অঙ্কের টাকা গিয়েছে বিজেপির কোষাগারে। একে একে তথ্য সামনে আসছে, অনুদানের বহর দেখে চমকে উঠছে আম জনতা। রবিবার আরও তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বিগত লোকসভা ভোটের বছরে অর্থাৎ ২০১৯ সালেই বন্ড থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি টাকা পেয়েছিল বিজেপি। নির্দিষ্ট করে বললে ২,৫৫৫ কোটি টাকা।

২০১৮ সালে অনুদানের এহেন মাধ্যম চালু করেছিল মোদী সরকার। নতুন তথ্য হিসেব করলে বিজেপির ঝুলিতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা গিয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ‘ইউনিক কোড’ দিয়ে বন্ড ক্রেতা ও প্রাপকের সূত্র জানা সম্ভব। কিন্তু ইউনিক কোড কমিশনকে দেয়নি এসবিআই। যার ফলে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রবল ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় এসবিআইকে। আজ, সোমবার শীর্ষ আদালতে ব্যাঙ্কের জবাব দেওয়ার কথা। ইউনিক কোড প্রকাশ্যে এলে পুরো তথ্য কমিশনের সামনে আসবে।

বন্ড কেনার তারিখ, বন্ডের সংখ্যা, স্টেট ব্যাঙ্কের কোন শাখা থেকে তা কেনা হয়েছিল, কবে সেই বন্ড কোন রাজনৈতিক দল ভাঙিয়েছে, সবই নথিতে জানিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, বন্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছে লটারি কিং সান্তিয়াগো মার্টিনের ফিউচার গেমিং। ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে তারা। যার ৩৭ শতাংশ অর্থাৎ ৫০৯ কোটি টাকা তারা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের দলকে দিয়েছে। বিজেপি দেশের শাসক দল বলেই কি এত বিপুল পরিমাণ অনুদান পেয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।

বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়েই অনুদানের বহর বাড়িয়েছে বিজেপি। ইডি, সিবিআই হানা ও তারপর সংশ্লিষ্ট সংস্থার বন্ড কেনার সময় অনুসারে, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে চাইছে বিজেপি। মোট বন্ডের অর্ধেকের বেশি টাকা জমা পড়েছে বিজেপির কোষাগারে। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় এজেন্সি কাজে লাগিয়ে বন্ডকে হাতিয়ার করে কার্যত তোলাবাজি করা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen