নাবালিকাকে ধর্ষণ, সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে জীবন্ত পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা ওড়িশায়
তৃতীয় অভিযুক্ত, টুলু নামে এক যুবক এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ওই তিন যুবক এলাকার এক মঠে কাজ করত

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯.৩৫: ফের খবরের শিরোনামে বিজেপি শাসিত ওড়িশা ( Odisha)! এবার জগৎসিংহপুর জেলায় (Jagatsinghpur district) ১৫ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, ওই নাবালিকা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে তাকে জীবিত অবস্থাতেই পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করেন (Try To Bury Her Alive) অভিযুক্তেরা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা সম্পর্কে একে অপরের ভাই।
অভিযুক্তদের নাম ভাগ্যধর দাস ও পঞ্চানন দাস। দু’জনই বনশবড়া গ্রামের বাসিন্দা। তৃতীয় অভিযুক্ত, টুলু নামে এক যুবক এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ওই তিন যুবক এলাকার এক মঠে কাজ করত। সেখানে নাবালিকার সঙ্গে পরিচয়। ধীরে ধীরে শুরু হয় যৌন নির্যাতন। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেই অপরাধ ঢাকতে পরিকল্পনা করে অভিযুক্তরা। অভিযোগ, সেই সময়ে তারা মেয়েটিকে পুঁতে খুনের চেষ্টা করে।
কিন্তু ভাগ্যক্রমে প্রাণে বাঁচে ওই নাবালিকা। তাকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। মেয়েটির বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কুজং থানায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
এই ঘটনাটি জগৎসিংহপুরে একমাত্র নয়। চলতি সপ্তাহেই জেলায় দ্বিতীয় নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। মঙ্গলবার, এক নাবালিকাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করে ধানখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে দু’জন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, রবিবার মালকানগিরি জেলায় এক নাবালিকাকে তিন যুবক অপহরণ করে গণধর্ষণ করে। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচলেও ফের ধর্ষণের শিকার হয় সে। এক মাসে ওড়িশায় কমপক্ষে ১২টি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করেছে পুলিশ। জুনে ১০ দিনের মধ্যে পাঁচটি ধর্ষণ বা গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এই মাসের শুরুতে বালেশ্বরে ফকির মোহন কলেজের এক ছাত্রী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েও সুবিচার না পেয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন।