লকডাউনে প্রায় ৬ লক্ষ শ্রমদিবস সৃষ্টি রাজ্যে
করোনা-বিরোধী যুদ্ধে দিনরাত লড়াই চালানো স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই), মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির মধ্যে দিয়ে ১ মে পর্যন্ত এই শ্রমদিবস সৃষ্টি করেছে রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প দপ্তর (এমএসএমই)। তাদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী, তন্তুবায় সমবায় সমিতি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা স্থাপন করেছেন এই দৃষ্টান্ত।
লকডাউন পর্বে ছয় লাখের বেশি শ্রমদিবস তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার।
করোনা-বিরোধী যুদ্ধে দিনরাত লড়াই চালানো স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই), মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির মধ্যে দিয়ে ১ মে পর্যন্ত এই শ্রমদিবস সৃষ্টি করেছে রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প দপ্তর (এমএসএমই)। তাদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী, তন্তুবায় সমবায় সমিতি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা স্থাপন করেছেন এই দৃষ্টান্ত।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে করোনা-যোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহে খামতি সামনে আসার পর সেগুলি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় এই দপ্তর। তাদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই সরঞ্জাম তৈরি এবং এই বিপুল সংখ্যক শ্রমদিবস সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে।

গত ২৩ এপ্রিল লকডাউন শুরু হওয়ার সময় থেকে চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে তৈরি হয়েছে এই বিপুল সংখ্যক শ্রমদিবস। এই সময়ের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ পিপিই, ২০ লাখ মাস্ক এবং দু’লাখ লিটারের বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নবান্ন সূত্রের খবর, এই জরুরি সামগ্রী তৈরির মধ্যে দিয়ে উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে রাজ্য।
তাছাড়া, যে সামগ্রী তৈরির মধ্যে দিয়ে এই বিপুল সংখ্যক শ্রম দিবস সৃষ্টি হয়েছে, সেই সামগ্রীর দাম আমদানি করা সরঞ্জামের তুলনায় অনেকটাই কম। এমএসএমই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের মেটিয়াবুরুজের ওস্তাগার, বড়বাজারের দর্জি শিল্পী এবং হাওড়ার সাঁকরাইলের ইউনিটে তৈরি হয়েছে যাবতীয় পিপিই। বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তৈরি হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। শুধুমাত্র পিপিই আর মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রেই সৃষ্টি হয়েছে সাড়ে চার লাখের বেশি শ্রম দিবস। আর প্রায় দেড় লক্ষ শ্রম দিবস এসেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি এবং নানা পরিবহণের মাধ্যমে নানা প্রান্তে তা পৌঁছে দিয়ে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখন প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ হাজার পিপিই, ৩০ থেকে ৫০ হাজার মাস্ক এবং ৫ থেকে ৬ হাজার লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি হচ্ছে। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সাত থেকে আট হাজার শ্রমিক সরাসরি যুক্ত। আরও তিন-চার হাজার শ্রমিক যুক্ত রয়েছেন জরুরি এই সামগ্রী বাছাই, প্যাকেজিং এবং পরিবহণের কাজে। সেলাইয়ের কাজে যুক্তদের প্রতিটি সামগ্রীর জন্য ৫ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।