সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুতে কালিগঞ্জে শোকের ছায়া
সোমবার ভোরে ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় ক্যাম্পের ভিতরেই সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হল চার সিআরপিএফ জওয়ানের। আরও তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এরাজ্যের এক জওয়ানও রয়েছেন। তাঁর নাম রাজীব মণ্ডল(৩২)। বাড়ি কালীগঞ্জ থানার দেবগ্রাম এলাকায়। এদিনই সকালে সিআরপিএফের কন্ট্রোল রুম থেকে রাজীবের বাড়িতে মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। এরপরই কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। ২০১০ সালে আধা সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন রাজীববাবু। প্রথম পোস্টিং ছিল কাশ্মীর। মাসখানেক আগেও তিনি ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। এভাবে তাঁর মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না পরিজনরা। পরিবারের তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন রাজীব। দিন তিনেক আগেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল মা হানিফা শেখের। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি শোকে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, শেষবার ফোনে ছেলে আমার চিকিৎসার জন্য টাকা পাঠানোর কথা বলেছিল। কিন্তু তা আর হল না। চোখের জল মুছে জওয়ানের স্ত্রী সুলেখা মণ্ডল বলেন, আগের রাতেও স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। ও বলেছিল, রাত তিনটের সময় উঠে ডিউটিতে যাবে। তারমধ্যেই এদিন সকালে বাড়িতে মৃত্যুর খবর আসে। কীভাবে কী হয়ে গেল, বুঝতে পারছি না। স্থানীয়রা বলেন, ছোট থেকেই পরিশ্রমী ছিলেন রাজীব। অভাবের সংসারে তিন ছেলেকে কোলে পিঠে মানুষ করেছেন তাঁর বাবা। ছোট ছেলে সরকারি চাকরি পাওয়ায় পরিবার কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যের মুখ দেখেছিল। কিন্তু চাকরি পাওয়ার মাত্র দশ বছরের মধ্যেই সবকিছু শেষ হয়ে গেল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাজল শেখ বলেন, মর্মান্তিক এই মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ বিধানসভায় রয়েছেন। আমাদের ফোন করে পরিবারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।