নিখিল-নুসরতের বিয়ে আইনত বৈধ না: আদালত
অবশেষে নুসরত জাহানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের (Nikhil Jain)। ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে নুসরতের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। বুধবার আলিপুর সিভিল কোর্ট তাঁদের বিয়েই বাতিল করে দিল।
তুরস্কে ২০১৯ সালে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেছিলেন নুসরত ও নিখিল। তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল দেখার মতো। বিয়ের পর প্রথম প্রথম বোঝাই যায়নি নিখিলের সঙ্গে নুসরতের সম্পর্ক তিক্ত হতে পারে। দুর্গাপুজোয় নিখিলকে পাশে নিয়ে সিঁদুরও খেলেছিলেন নুসরত। কিন্তু বিয়ের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সম্পর্কে ভাঙন! আর তার শেষ পরিণতি হল আজ, বুধবার। আদালতই জানিয়ে দিল, সেই হাই প্রোফাইল বিয়েই বৈধ নয়। তুরস্কে নুসরত ও নিখিল বিয়ে করলেও এদেশে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়নি। সেই কারণেই অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) থেকে আলাদা হতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিখিল।
তবে নিখিলের অ্যানালমেন্টের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না নুসরত। বিবৃতি দিয়ে অভিনেত্রী-সাংসদ দাবি করেছিলেন, ভারতীয় আইন অনুযায়ী তাঁর ও নিখিলের বিয়েই হয়নি। তাঁরা শুধুমাত্র লিভ-ইন সম্পর্কেই ছিলেন। সুতরাং বিচ্ছেদের প্রশ্নই আসে না। নুসরতের সেই বিবৃতি নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। তাহলে শাখা-সিঁদুর কেন পরতেন অভিনেত্রী? এমন প্রশ্নও উঠেছিল। অবশ্য সেসব এখন অতীত।
ততদিনে নিখিল ও নুসরতের মাঝে ঢুকে পড়েছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। আদালতে মামলা চলাকালীনই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা জানিয়ে ছিলেন নুসরত। এর মধ্যেই মা হন নুসরত। প্রকাশ্যে যশকে স্বামী এবং ঈশানের বাবা হিসেবে মেনেও নেন নুসরত। তবে যশের সঙ্গে নুসরতের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে কখনওই দেখা যায়নি নিখিলকে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই নিখিল ভালবাসা ও জীবন দর্শন নিয়ে নানা কথা লিখতেন।
বিবৃতি দিয়ে অভিনেত্রী-সাংসদ দাবি করেছিলেন, ভারতীয় আইন অনুযায়ী তাঁর ও নিখিলের বিয়েই হয়নি।