শেষমেষ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার মমতার ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীর
পুরসভা ভোটের আগেই কমল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল রতন মালাকার। তিনি জানিয়েছেন, নিজের ভুল বুঝতে পেরেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
২০২১ পুরভোটে টিকিট না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বউদির বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রতন মালাকার ৷ বুধবার তিনি ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নও জমা দিয়েছিলেন । তবে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মত বদল করলেন তিনি ।
শুক্রবার সকালেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে জমা দেওয়া মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি । দলের সৈনিক ছিলাম । আছি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আজ আমি এই জায়গায় । সুব্রত বক্সি, মদন মিত্র-সহ নেতৃত্বরা আমায় বুঝিয়েছেন। আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। দল যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করব।’
রতন মালাকার ২০০০ সালে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথম বার তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়ান৷ পরে তাঁকে ২০০৫ সালে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে সরিয়ে আনা হয়৷ তারপর থেকে ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৫ সালে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হন রতন। দীর্ঘ ২০ বছর কাউন্সিলর থাকার পরও এই বছর আচমকা বাদ পড়েছিলেন রতন৷
কিন্তু, কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল? তার উত্তর জানেন না রতন৷ সেই কারণেই তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন যান দিয়েছিলেন। ফলে, তাঁর প্রার্থী হওয়াতে তৃণমূলে অস্বস্তি বেড়েছে বলেই মনে করেছিলেন রাজনীতিকরা৷ তবে, প্রথম থেকেই তৃণমূল সূত্রের দাবি করেছিল, ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যারের শেষ দিন৷ তার আগেই রতন মালাকার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে পারেন৷ আর বলা হয়েছিল তা না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ এখন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে তবে কী এইসব এড়াতেই মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করলেন তিনি?