রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষক পেনশন প্রাপকদের তথ্য যাচাই করবে কৃষিদপ্তর

December 9, 2021 | 2 min read

 বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষক পেনশন প্রাপকদের তথ্য যাচাই করবে কৃষিদপ্তর। পেনশন প্রাপকদের আধার কার্ড সহ আরও কিছু নথির ছবি তুলে তা সরকারি পোর্টালে আপলোড করা হবে। কৃষিদপ্তর সম্প্রতি এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। যাচাইয়ের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। সামাজিক সুরক্ষার জন্য সরকার নানা ধরনের পেনশন দিয়ে থাকে। এই প্রথম কৃষক পেনশন প্রাপকদের মাধ্যমে সামাজিক পেনশন প্রকল্পের যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। কৃষিদপ্তরের উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানান, পেনশন প্রাপকদের পরিচয় আধারের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা হবে। এতে প্রকল্পে আরও স্বচ্ছতা আসবে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সুবিধা প্রাপকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ ‌ইতিমধ্যে করা হয়েছে। 
কৃষক পেনশন পেয়ে থাকেন ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সি কৃষকরা। মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট কৃষক পেনশন প্রাপকের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ। বয়স্কদের জন্য রাজ্য সরকারের একাধিক পেনশন প্রকল্প রয়েছে। সব পেনশন প্রকল্পেই মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক পেনশন ও সরকারি আর্থিক অনুদান প্রকল্পগুলিকে এক ছাতার তলায় আনা হবে। এজন্য ‘জয় বাংলা’ পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সবক’টি পেনশন প্রকল্প এক জায়গায় আনলে একজনের একাধিক পেনশন গ্রহণ বন্ধ করা যাবে। এতে সরকারের আর্থিক অপচয় আটকানো যাবে। কৃষক পেনশন অনেক বছর যাবৎ দেওয়া হয়েছে। কৃষিদপ্তর সূত্রের খবর, অনেক পেনশন প্রাপকের আধার নম্বর নথিভুক্ত নেই। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা সংগ্রহ করা হবে। আধার কার্ড বা তার প্রতিলিপির ছবি তুলে নেবেন কৃষিদপ্তরের কর্মীরা। সেই ছবি জয় বাংলা পোর্টালে আপলোড করা হবে। পেনশন প্রাপকদের সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র, ডিজিটাল রেশন কার্ড, জমির নথি প্রভৃতির ছবি তুলে আপলোড করতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষক পেনশন প্রাপকদের যাবতীয় তথ্য যাচাই করে তা পোর্টালে রেখে দেওয়া হবে। বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের মাধ্যমে কৃষক পেনশন প্রাপকদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হবে দপ্তর। সরকারি কর্মীদের পেনশনের মতো কৃষক পেনশনের ক্ষেত্রে প্রতি বছর লাইফ সার্টিফিকেট দিতে হয়। গত বছর করোনার কারণে লাইফ সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়নি। বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালাতে গিয়ে এই সময়ের মধ্যে মৃত পেনশন প্রাপকদের চিহ্নিত করা যাবে। মৃতদের বাদ দিয়ে নতুন পেনশন প্রাপকদের অন্তর্ভুক্ত করা সুযোগ মিলবে সমীক্ষার পর। বাড়ি গিয়ে এই কাজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মীদের মূলত ব্লকের কৃষি অফিসগুলি থেকে নেওয়া হবে।

গ্রামীণ এলাকায় সমীক্ষা চালানোর জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করার বিশেষ প্রয়োজন বলে কৃষিদপ্তরের কর্মী সংগঠন মনে করছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, উদ্যোগটি খুব ভালো। কিন্তু দ্রুত কাজ করার জন্য পরিকাঠামো দরকার। এব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দেবে সংগঠন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Farmer pension, #West Bengal, #Agriculture Department

আরো দেখুন