ভাঙড়ের সব্জি পেতে অন্তত আড়াই মাস

May 30, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

আম্পানের জেরে প্রায় ১০০% ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ভাঙড়ের শাক, সব্জি, ফলমূলের চাষ। ফলে নতুন করে ভাঙড়ের সব্জি ভাণ্ডার থেকে আগামী আড়াই মাস আর কোনও সব্জি পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন কৃষকরা।

চাষিদের বক্তব্য, আগে তাঁরা নিজেদের বসত বাড়ি, ধানের গোলা, পুকুরের মাছ, আমবাগান ঠিক করবেন। তার পর আবহাওয়া ঠিক হলে ফের নতুন করে শস্যের বীজ বপন করবেন। সেই বীজ থেকে নতুন ফসলের জন্ম হয়ে তা হাটে বাজারে যেতে কম করে আড়াই মাস সময় লেগে যাবে। ফলে শুধু ভাঙড়, রাজারহাট, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, ক্যানিং, সোনারপুর, বারুইপুর নয়, কলকাতার একটা বড় অংশের মানুষও সস্তার সব্জি থেকে বঞ্চিত হবেন।

প্রথমে লকডাউন তারপর আম্পানের জেরে কপাল তো আগেই পুড়েছে, এবার সব্জি কিনতে গেলেও হাতে ছেঁকা লাগবে আমজনতার। লকডাউনের পর থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারানো বহু মানুষ পাড়ায় পাড়া সব্জি বেচে সংসারের হাল ধরেছিলেন। আম্পানের জেরে সেই বিকল্প পেশাও বিরাট অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেল।

ভাঙড়ের উর্বর মাটিতে আলু, পেঁয়াজ, কুমড়ো, লাউ, পুঁইশাক, শশা, বরবটি, টম্যাটো, ক্যাপসিক্যাম, লঙ্কা সব কিছুই চাষ হয়। সেই সব ফসল কলকাতার পাশাপাশি ভিন রাজ্য এমনকি ভিন দেশেও পাড়ি দেয়। যদিও আম্পানের তাণ্ডবের পরে সব্জি খেতের সবুজ উধাও হয়ে গেছে রাতারাতি। সব্জি ছাড়াও ভাঙড়ের দু’টি ব্লকে প্রচুর আমবাগান, পেয়ারা বাগান, কাঁঠাল, লিচু, সবেদা ও অন্যান্য ফলের গাছ ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে দু’টি ব্লকের ৬০০ হেক্টর ফলের বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। সেই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৩ কোটি টাকা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen