পদ যাবার পরই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপ ছেড়েছেন সায়ন্তন? জল্পনা বিজেপির অন্দরেই
পদ খোয়ানোর পরই দলের হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপ ছাড়লেন বিজেপির সদ্যপ্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। এছাড়া রাতে সল্টলেকে, তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখা করেছেন বিধায়ক-সহ শাসকদলের ২ জন। মাত্র কয়েকঘণ্টা ব্যবধানে বিজেপি নেতার একাধিক আচরণ ঘিরে সংশয় তৈরি হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের জল্পনাও উসকে উঠেছে। যদিও সায়ন্তনের বক্তব্য, কোনও আলাদা সমীকরণ নেই। তৃণমূল নেতারা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন।
কলকাতা পুরভোটে (KMC Election) গেরুয়া শিবির ব্যাপক ধসের মুখে পড়েছে। এই ব্যর্থতার পরই বিজেপির (BJP) রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। বুধবারই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন পাঁচজন। সাধারন সম্পাদক হয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিধায়ক দীপক বর্মন এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন এলেন দুই বিধায়ক ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়েছেন সায়ন্তন বসু, সঞ্জয় সিংয়ের মতো নেতারা।
সায়ন্তন বসু এবং রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া আরও কয়েকজন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ঘনিষ্ঠ। ফলে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির ‘টিম’ বলে পরিচিত একাধিক ব্যক্তি পদ হারানো নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকের মত, ‘টিম’ দিলীপ ঘোষের উপরেই কোপ পড়েছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ক্ষোভবশতই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দলের গ্রুপ ছেড়েছেন। আপাতত তিনি দল থেকে কিছুটা দূরত্ব রাখতে চান। তবে কি এবার পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যাওয়ার তোড়জোড় করছেন তিনি? এই বিষয়েও ধোঁয়াশা জারি রেখেছেন সায়ন্তন বসু। বুধবার রাতে তৃণমূলের (TMC)এক প্রাক্তন বিধায়ক এবং বর্তমান বিধায়ক তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পরও সায়ন্তনের বক্তব্য, এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ, অন্য কোনও সমীকরণ নেই। তবে পদ্মশিবিরের এখন যা হাওয়া, তাতে কে কখন কোন শিবিরের দিকে ঝুঁকবেন, তা সময়ই বলবে।