আজ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব
শীতকালীন অধিবেশনে তালিকায় রেখেও রাষ্ট্রায়ত্ত দুই ব্যাঙ্ক বিক্রির লক্ষ্যে সংশোধনী বিল আনতে সাহস পায়নি মোদী সরকার। তবে আজ থেকে শুরু হতে চলা সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে সরকার তা আনতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে। আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। এই পর্বে পাশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। একইসঙ্গে আজ সংসদে পেশ হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের বাজেট। এবারের অধিবেশনে বিরোধীরা ইউক্রেন থেকে ছাত্র ফেরানো, মূল্যবৃদ্ধি, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সরব হবে বলেই ঠিক করেছে। তবে চার রাজ্যের ভোট জয়ের পর বিজেপিও বিরোধীদের দ্বিগুণ উদ্যমে দমিয়ে দিতে তৈরি।আর সেই দাপটেই সংসদে ইচ্ছে মতো বিল পাশ করাবে মোদী সরকার। ২০২১ সালের বাজেটে ঘোষণার করা পর বছর ঘুরতে চললেও সরকার সংসদে আনেনি ‘দ্য ব্যাঙ্কিং লজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২১।’ একইভাবে ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত বিলও। দুটির কোনওটিই নভেম্বর-ডিসেম্বরের শীতকালীন অধিবেশনে আনা সাহসে কুলোয়নি। কারণ, সামনেই ছিল পাঁচ রাজ্যের ভোট। সরকারি ব্যাঙ্ক বিক্রির আইনি উদ্যোগ নিলে ভোটে কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন মোদী সরকার। ঠিক যেভাবে জেদ করেও শেষে তিন কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এখন চার রাজ্যে বিজেপির জয়ে চাপমুক্ত মোদী। বিরোধীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুর জয়ের রাজনৈতিক দাপট যে লোকসভাতেও দৃশ্যমান হবে, তা বলাই বাহুল্য। হলফ করে বলা যায়, আজ সোমবার সংসদের কক্ষে নরেন্দ্র মোদী প্রবেশ করলে বিজেপি বেঞ্চ থেকে উঠবে জয়ধ্বনি। আর চার রাজ্য, বিশেষত উত্তরপ্রদেশ জয়ের তাকৎ সামনে রেখেই কেন্দ্র রাষ্ট্রায়ত্ত দুটি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ সংক্রান্ত সংশোধনী বিল আনবে বলেই খবর।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বিক্রি করতে গেলে ‘দ্য ব্যাঙ্কিং কোম্পানিজ (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অব আন্ডারটেকিং) আইন ১৯৭০ এবং ১৯৮০ সংশোধন করতে হবে। সংশোধন করতে হবে ‘দ্য ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইন ১৯৪৯।’ নতুন সংশোধনী আইনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বিক্রিতে আইনি ছাড়পত্র সংসদ থেকে শীলমোহর লাগিয়ে নেবে মোদী সরকার। যদিও ঠিক কোন দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বিক্রি হবে, তা এখনও ঠিক করেনি কেন্দ্র। ব্যাঙ্কিং ল’জ সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গেলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মালিকানার শেয়ার কমে যাবে। ৫১ থেকে হবে ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারের অংশ চলে যাবে বেসরকারি হাতে।