আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

ইউক্রেনে আক্রমণের প্রতিবাদ করে রুশ জেলে বন্দী প্রায় ১৫ হাজার মানুষ

March 15, 2022 | 2 min read

২৪ ফেব্রুয়ারি বলে কয়ে ইউক্রেন আক্রমণ করেছে রাশিয়া। হামলা যে হবে তা অবশ্য বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বুঝতে পারছিলেন রাশিয়ার আম জনতা। সেই অনুযায়ী যুদ্ধের বিরোধিতা করে পথেও নামছিলেন। কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারির পর আমূল বদলে গেল চিত্রটা। বিরোধিতার নাম উচ্চারণ করলেও জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে পুতিনের দেশে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে রুশ আগ্রাসনের বিরোধিতার ‘অপরাধে’ জেলে পোরা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার করে অবশ্য আটকানো যাচ্ছে না প্রতিবাদের সুর। নিত্য নতুন কায়দায় ফেটে বেরোচ্ছে প্রতিবাদ। তারই অন্যতম, কোডের মাধ্যমে প্রতিবাদের খবর ছড়িয়ে দেওয়া।

নিতান্তই সাধারণ একটা ছবি। তাতে বহু মানুষের হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য। মাঝের অংশে কেবল লেখা ৭ সংখ্যাটি। সেই সঙ্গে একটি মুখ। আপাতদৃষ্টিতে সেই ছবিতে হাঁটা ভিন্ন আর কিছু ধরা না পড়লেও, আসল গল্প লুকিয়ে ওই ৭ সংখ্যাটির মধ্যে। প্রতিবাদীরা বলছেন, ৭ মার্চ প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য জমায়েতের ডাক দিয়ে পোস্টার পড়েছে। তাতে হাঁটার ছবির অর্থ হল, পদযাত্রার ডাক। এমনই হাজারও ছবি, ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টারে প্রতিবাদের ডাক পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে।

২০১৪-য় ক্রাইমিয়া দখলের সময়ও প্রতিবাদে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুতিন সরকার। সেই সময় কোডের ব্যবহার করে প্রতিবাদে পথে নেমেছিল রুশ জনতা। ২০২২-এর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। এ বারও সেই কোড ব্যবহার করেই নিজেদের মধ্যে মতামত আদানপ্রদান করছেন আন্দোলনকারীরা। জমায়েত কোথায়, খবর পৌঁছে যাচ্ছে নিমেষে। ওই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার দেখেই নির্দিষ্ট জায়গায় জমায়েত হচ্ছেন মানুষ। পা মেলাচ্ছেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে। সূত্রের খবর, রাশিয়ার ৫৩টি শহরে এখনও পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও দমানো যাচ্ছে না প্রতিবাদের আগুন।

বাজার চলতি নেটমাধ্যম রাশিয়ায় বন্ধ, ফলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়ছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও প্রতিবাদে পথে নামা থেকে কোনও ভাবেই তাদের আটকানো যাচ্ছে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#jail, #Ukraine War, #russia

আরো দেখুন