কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

৫ বছরের শিশুর পায়ের হাড় হাতে লাগিয়ে অসাধ্য সাধন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের

April 13, 2022 | 2 min read

 মানবশরীরের মধ্যেই তার রোগব্যাধির ‘উত্তর’ দিয়ে রেখেছে সৃষ্টিকর্তা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে সেই ‘উত্তর’। আমাদের দু‌ই পা’তেই রয়েছে এমনই এক বিকল্প ‘বোন ব্যাঙ্ক’। হাড়টির নাম ‘ফিবুলা’। হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত নেমে গিয়েছে প্রধান হাড় টিবিয়া। তার পাশেই থাকে ফিবুলা। দরকার পড়ায় এই বিকল্প হাড় হাতে জুড়ে কামাল করল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। পরপর ৩টি এমন অপারেশন করে গোটা রাজ্যে তাক লাগিয়েছে তারা। একটি ঘটনায় হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত দুই তরুণীর ডান হাত বাঁচিয়েছে। অন্য ঘটনায় বাঁ হাতের হাড়ে জটিল সংক্রমণ হওয়ার পাঁচ বছরের এক খুদেকে প্রায় নিশ্চিত বিকলাঙ্গ হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে তারা। সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পিজি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের ডাক্তাররা শিশুটির হাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ কেটে বাদ দেন। কিন্তু, তাতে হিতে বিপরীত হয়। শিশুটির বাঁ হাত সম্পূর্ণ অসাড় হয়ে যায়। 

মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, তিনটি ক্ষেত্রেই রোগীদের ডান পায়ের হাড় ‘ফিবুলা’ কেটে নিয়ে হাতের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় জুড়ে দেওয়া হয়। হাওড়ার বাসিন্দা ওই শিশুর নাম মিরাজুল শেখ। বছর কুড়ির দুই তরুণীর নাম যথাক্রমে অঙ্গনা মান্না এবং রেহানা পারভিন। তিনটি ক্ষেত্রেই শুধু অপারেশন করেই ক্ষান্ত হননি মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকরা। মাসের পর মাস ফলো আপ করে দেখেছেন, কতটা অগ্রগতি হল? সত্যিই কি হাত দু’টি কর্মক্ষম হয়েছে? মিরাজুলের বাবা রিয়াজুল শেখ মোল্লা বলেন, ‘আড়া‌ই বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছুটেছি। শেষ পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজ ছেলের রোগ নির্ণয় করে অপারেশন করল। অপারেশনের পর ছেলে এখন বাঁ হাতে দু’ লিটারের জলের বোতল তুলতে পারছে। দিব্যি সাইকেলও চালাচ্ছে। ডাক্তারদের ধন্যবাদ।’ অর্থোপেডিক বিভাগের দুই ডাক্তার হিরন্ময় দেব ও সৈকত সাউয়ের অধীনে অপারেশন হয় ওই শিশুর। সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সাউ বলেন, ‘ঈশ্বরই বিকল্প হাড়ের ব্য‌বস্থা করে রেখেছেন আমাদের শরীরে। আমরা শুধু সেই হাড়টি যথাস্থানে ব্যবহার করছি মাত্র।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#calcutta medical college

আরো দেখুন