রাস্তার সারমেয়দের জন্য তৈরি হল খাবার ও জলের পৃথক জায়গা, উদ্যোগ হাওড়ার পঞ্চায়েতের
হাওড়ার সাঁপুইপাড়ায় পথ কুকুরদের জন্য খাবার নতুন জায়গা তৈরি করা হল। সাঁপুইপাড়া বাসুকাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এলাকায় রাস্তার সারমেয়দের জন্য নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ পঞ্চায়েতের ফান্ড থেকে আপাতত পাঁচ জায়গায় তাদের খাবার জন্য জায়গা করা হয়েছে৷ সাঁপুইপাড়া বাসুকাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সৌমেন্দ্র গায়েনের এই উদ্যোগকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ তাদের বক্তব্য, এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রাস্তার কুকুরদের জন্য চিন্তা ভাবনা করাটা দারুণ ব্যাপার৷ তারা কীভাবে সঠিক সময় খাবারদাবার পাবে ও প্রচণ্ড গরমে জলই বা কোথায় পাবে, সেই চিন্তা ভাবনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই জায়গাটি৷ বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন, যাঁরা পশুপ্রেমী, তাঁদের এটি দেখাশোনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷
সোমবার দুপুরেই দেখা গেল, সেই পাতে এলাকাবাসীদের দেওয়া খাবার খেতে ছুটে আসছে সারমেয়রা৷ তারাও ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছে যে, এই নতুন জায়গাটি তাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে৷ যেখানে শুধু তাদের জন্য খাবার রাখা হয়েছে, তারা যে কোনও সময় এসে খেতে পারে৷ এলাকার মানুষরাও জানিয়েছেন যে, তাঁরা এর আগে যখন রাস্তার উপরে যেখানে সেখানে ধুলোর মধ্যে পথের কুকুরদের খাবার ফেলে দিতেন, সেই নোংরা খাবারই কুকুরগুলো খেত৷ কিন্তু এখন পঞ্চায়েতের এই নতুন উদ্যোগের ফলে তারা ভীষণ সুন্দর পরিষ্কার ঝাঁ-চকচকে জায়গায় খাবার পাচ্ছে৷ সঙ্গে জায়গা নোংরাও হচ্ছে না।
পঞ্চায়েতের প্রধান সৌমেন্দ্র গায়েন জানিয়েছেন যে, তাদের কাছে একটা প্রায় ৪০ হাজার টাকা ফান্ড পড়েছিল৷ এই অল্প টাকা দিয়ে কি করা যায়, সেই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা শুরু হয়৷ পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তাদের পঞ্চায়েতের কাজ যেমন এলাকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধা, রাস্তাঘাট, পানীয় জল ও আলোর ব্যবস্থা করা, তেমনই তাদের দায়িত্ব রয়েছে যে তাদের পঞ্চায়েত এলাকায় যে সমস্ত পথ কুকুর বা পশুপাখিরা রয়েছে, তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথা রাখা৷ তাদের কথা মাথা রেখেই সৌমেন গায়েন এই সিদ্ধান্ত নেন৷
তিনি বলেন, ‘‘সারমেয়দের খাবার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এটি তৈরি করতে সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে৷ এই ধরনের উদ্যোগ হাওড়া কেন গোটা পশ্চিমবাংলায় মনে হয় প্রথম, যেটা প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে দিশা দেখাবে৷ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশে থাকা সমস্ত রকমের পশুপাখিদেরও চিন্তাভাবনা পঞ্চায়েত প্রধানদের করতে হবে৷’’