উত্তরাখণ্ডে হিন্দিতে ডাক্তারি পড়ানোর শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা ঘিরে বিতর্ক
দিন কয়েক আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের স্কুলগুলির পাঠ্যবিষয়ে রাখা হবে গীতা এবং বেদ। উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী ধন সিংহ রাওয়ত এ বার জানালেন, রাজ্যে ডাক্তারি পড়ানো হবে হিন্দিতে!
এক সাক্ষাৎকারে ধন সিংহ বলেন, “কেন্দ্রের নতুন শিক্ষা নীতি মেনেই আমরা এমবিবিএস কোর্স হিন্দিতে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হিন্দিতে এই কোর্স চালু হলে হিন্দি মাধ্যমের পড়ুয়ারা ইংরেজি মাধ্যমের পড়ুয়াদের সঙ্গে সমান তালে এগোতে পারবেন।”
তাঁর কথায়, “হিন্দি মাধ্যমের অনেক মেধাবী ডাক্তারি পড়ুয়া আছেন। কোনও বিকল্প থাকে না বলে কলেজে তাঁদের ইংরেজিতেই ডাক্তারি পড়তে হয়। ফলে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয় হিন্দি মাধ্যমের ডাক্তারি পড়ুয়াদের।”
তাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএসে হিন্দি চালু করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ধন সিংহ। এত দিন ইংরেজিতে ডাক্তারি পড়ানো হয়েছে গোটা দেশেই। পাঠ্যবইও ইংরেজিতে। তা হলে এ বার হিন্দিতে তো ডাক্তারি পাঠ্যবই প্রকাশ করতে হবে? এটা একটা দক্ষযজ্ঞ নয় কী? এ প্রসঙ্গে ধন সিংহের জবাব, “অবশ্যই এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই বাধাও উতরে যাবে। হিন্দিতে পাঠ্যবই প্রকাশ করতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে। এবং তার পর কেন্দ্র ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতোই সেই পঠনপাঠন চালু করা হবে।”
বিজেপিশাসিত রাজ্য গুজরাত, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং হিমাচলপ্রদেশে আগেই স্কুল সিলেবাসে হিন্দু ধর্মগ্রন্থের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। সেই পথে হেঁটেই এ বার উত্তরাখণ্ডেও স্কুলপাঠ্যে গীতা এবং বেদের অন্তর্ভুক্তিকরণ হতে চলেছে। ধন সিংহের কথায়, “আমাদের ছেলেমেয়েদের তাদের মাতৃভাষায় দেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে তোলা প্রয়োজন।”