২০১৩ সালে আত্মঘাতী হয় সাগ্নিকের আরেক বান্ধবী, পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
টলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ ঘিরে জট বাঁধছে ক্রমশ। প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সামনে আসছে একের পর এক তথ্য। এবার সূত্র মারফত জানা গেল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০১৩ সালে সাগ্নিকের এক বান্ধবী সুমনা আত্মহত্যা করে। তার বাড়িও হাওড়াতে। তবে সে বান্ধবীর পরিচয় জানা যায়নি এখনও।
অভিনেত্রী পল্লবী দের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় একাধিকবার তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মঙ্গলবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ডেকে পাঠায় গরফা থানার পুলিস।
পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে সাগ্নিক জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পল্লবী। সম্প্রতি ‘মন মানে না’ সিরিয়ালে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। তারপরে আর কোনও কাজ ছিল না তাঁর হাতে। এদিকে মাথার উপর প্রচুর ইএমআই। কয়েক দিন আগেই লোন নিয়ে বেশ কিছু সম্পত্তি কিনেছিলেন অভিনেত্রী। পেশা এবং আর্থিক সমস্যা, সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার ডিসি অতুল ভি নিজেই আসেন গরফা থানায়। শেষ খবর অনুযায়ী, সাগ্নিক এখনও রয়েছেন থানায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ইতিমধ্যেই পল্লবীর পরিবার সাগ্নিক এবং এক বান্ধবীর বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত প্রেমিককে সোমবার গড়ফা থানায় রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস।