পিছু হঠল মোদী সরকার? শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ মেট্রো রেলের
বিতর্ক এড়াতে পিছু হঠল মোদী সরকার। মোদী সরকারের দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে আগামীকাল ১১ জুলাই শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন হতে চলেছে। কিন্তু সেই উদ্বোধনকে ঘিরেই মোদী সরকার ও রাজ্য সংঘাত চরমে ওঠে। উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোয় মোদী সরকারের অসৌজন্যের রাজনীতিকে আক্রমণ করে রাজ্যে শাসক শিবির। দুই শিবিরে চরমে ওঠে তরজা। অবশেষ পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামে কলকাতা মেট্রো। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, সোমবার ১১ জুলাই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। রবিবার ১০ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও কলকাতার মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, সোমবার ১১ জুলাই নবনির্মিত হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। ওইদিনই GTA-এর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা। শনিবার ৯ জুলাই মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতির সময়ে মেট্রো প্রকল্পের করা হচ্ছে। মেয়র জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে চরমে ওই রাজনৈতিক তরজা।
এরপরেই তড়িঘড়ি মেট্রো রেল এগিয়ে আসে সামাল দিতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক পরেশ পাল, মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়সহ একাধিক বিধায়ক ও সাংসদকে উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে জানান কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও ডাকা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
বিতর্ক থামাতেই কি তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হল? সে প্রশ্ন থেকেই যায়। মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল।