দেশ বিভাগে ফিরে যান

অনুমোদন ছাড়াই চলছে বুস্টার টিকাকরণ? দেশবাসীর প্রাণ নিয়ে খেলছে মোদী সরকার

July 20, 2022 | 2 min read

বিগত বছরের ডিসেম্বরে দেশের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্যে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ বা প্রিকশানারী ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদী। ২০২২-এর ১০ জানুয়ারি থেকে বুস্টার ডোজ প্রদান শুরু হয়। ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কোনরকম অনুমোদন ছাড়াই, দেশে টিকাকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চলছে।

এখন প্রাপ্তবয়স্কদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে। করোনার ভয়ের কারণে বুস্টার ডোজের নেওয়ার হিড়িক লেগে গিয়েছে। কিন্তু ১৯ জুলাই এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যম চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন আজ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজকে ছাড়পত্র দেয়নি।

বুস্টার ডোজ নিয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে সহমত ছিলেন না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এবং আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব। এই সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৭ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক, আইসিএমআর, সিডিএসসিও এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একাধিক আরটিআইয়ের আবেদন জমা পড়ে। প্রায় সর্বমোট ২৪ টি আবেদন জমা পড়েছিল। গত ৩০ জুন আরটিআইয়ের জবাবে জানানো হয়, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিনের প্রিকশানারি ডোজের অনুমোদন চেয়ে সিডিএসসিওর কাছে কোন আবেদন করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, দেশে কোন ওষুধ, ভ্যাকসিন ইত্যাদি ব্যবহার ও বাজারজাত করার জন্যে সিডিএসসিওর অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়াও সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির সুপারিশের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তার কোনটাই হয়নি। কোভিশিল্ডের তৃতীয় ডোজের জন্য আবেদন করা হয়েছিল একটি বৈঠকে, তা এসইসি খারিজ করে দিয়েছিল। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখাতে বলা হয়েছিল।

এনট্যাগির যাবতীয় বৈঠকের কার্যবিবরণী স্বাস্থ্যমন্ত্রক বা আইসিএমআরের ওয়েবসাইটে রাখা রয়েছে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এমনটাই জানিয়েছিল মোদী সরকার। চলতি বছরের এপ্রিল অবধি সেখানে বুস্টার ডোজ নিয়ে কোন তথ্য মেলেনি। গত ৬ মে আরটিআইয়ের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, বৈঠকের কার্যবিবরণী জানা আরটিআই আইনের অধীনে পড়ে না। কারণ হিসেবে বলা হয়ে, এক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক এবং কৌশলগত বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। তাই তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না।

তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্ত কয়েকজন আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রিকশানারি ডোজকে অনুমোদন দেওয়াই হয়নি। সরকার তরফে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য দেওয়া হয়নি। যদি দুটি ডোজের মধ্যের ব্যবধান সরকারি প্রতিনিধিদের জানানো হলে, মোদী সরকারের কর্তাব্যক্তিরা তাকেই বুস্টার ডোজ অনুমোদন ভেবে ফেলে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Corona Virus, #covid 19, #booster dose, #Booster, #India

আরো দেখুন