আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

ইরানের হিজাব আন্দোলনের কান্ডারি নিলুফার হামেদি বন্দি ইভিন জেলে

October 12, 2022 | < 1 min read

উত্তাল ইরান, হিজাব নিয়ে প্রতিবাদের ঢেউ অব্যাহত। হিজাব বিতর্ককে কেন্দ্র করে ক্রমশই বিক্ষোভ বাড়ছে, প্রতিবাদে অংশ নিয়েই মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। মহিলা সাংবাদিক নিলুফার হামেদির তোলা ছবি থেকেই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও, জেলের কুঠুরিতে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। ইভিন জেলের একটি আলাদা সেলে নিলুফারকে আটকে রাখা হয়েছে। বিগত ১৬ সেপ্টেম্বর টুইটারে মাহসা আমিনির অভিভাবকদের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন নিলুফার। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে তেহরানের হাসপাতালে কোমায় চলে যাওয়া ২২ বছরের মেয়ের মা ও বাবা পরস্পরকে সাহস জোগাতে আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ওই ছবি মুহূর্তের মধ্যে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, ইরানে কী ঘটছে তা সকলেই বুঝতে পারেন। মাহসার মৃত্যুর পরেই বিক্ষোভ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। নিলুফারের ছবি থেকেই আন্দোলন উৎপত্তি।

নিলুফার অত্যন্ত দক্ষ এবং নির্ভীক সাংবাদিক। এর আগেও একাধিক খবর ব্রেকিং করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইরানের খবর প্রকাশ্যে আনতেই, ২২ সেপ্টেম্বর নিলুফারকে বন্দি করা হয়। আইনজীবী মহম্মদ আলি কামফিরৌজি নিলুফারকে গ্রেপ্তারির কথা উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন, গোয়েন্দা কর্মীরা সাংবাদিকের ঘরে তছনছ করে তল্লাশি চালিয়েছে।

ইতিমধ্যেই হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সময়সীমা তিন সপ্তাহ অতিক্রম করে ফেলেছে। কিন্তু প্রতিবাদ কমার কোনও নাম নেই।


আন্দোলনের দমন-পীড়ন করতে গিয়ে ১৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জন নাবালক-নাবালিকা। ২২ বছরের মাহসা আমিনিকে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারতে মারতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাতেই অসুস্থ হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন মাহসা। হাসপাতালেই তার মৃত্যুর হয়। তার মৃত্যুর পর কাতারে কাতারে মানুষ পথে নামেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Iran, #journalist, #Hijab issue, #Hijab row, #Niloofar Hamedi, #Activist, #Hijab protest

আরো দেখুন