রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

গোষ্ঠী কোন্দল! নাড্ডার কাছে বঙ্গবিজেপির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এই নেতা

October 29, 2022 | 2 min read

দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির মূল স্রোতে নেই। অথচ একটা সময় তিনি ছিলেন বাংলা বিজেপির অন্যতম মুখ। রাস্তার আন্দোলনে জলকামানের মুখে দাঁড়িয়ে পড়া থেকে আগুন ঝরানো বক্তৃতা—তিনি থাকতেন সামনের সারিতে। সেই তিনি বিজেপি’র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। দলের বর্তমান রাজ্য নেতাদের কার্যত তুলোধনা করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিস্ফোরক চিঠি দিলেন সায়ন্তন।

একুশের নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির মধ্যেকার কোন্দল, বিবাদ বেআব্রু হয়ে গিয়েছিল। তারপর দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে আনার পর থেকে তা আরও তীব্র হতে শুরু করে। সায়ন্তনের এই চিঠি বিজেপি’র গোষ্ঠী কোন্দলকে আরও একবার সামনে নিয়ে এল।

রাজ্য বিজেপি এখন পাঁচ-ছ’জন দলবদলু নেতার সিন্ডিকেট। তাঁদের প্রত্যেকেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। পুরনো নেতা-কর্মীদের উপেক্ষা করে ‘নিরাপদ’ কেন্দ্রগুলিতে টিকিট দেওয়া হয় এই নবাগতদের। তার ফলেই এরকম অধিকাংশ আসন হারিয়েছে বিজেপি। মুখ থুবড়ে পড়েছে নবান্ন দখলের স্বপ্ন। কিন্তু দল সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি। এমন চলতে থাকলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পদ্ম পার্টির অস্তিত্বই বাংলা থেকে মুছে যাবে। সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে চিঠি লিখে এই ভাষাতেই দলের কঙ্কালসার চেহারার কথা তুলে ধরলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। প্রাক্তন রাজ্য কমিটি সদস্যের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা বা দলের প্রবীণ সাংসদরা এমনভাবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ করছেন, যাতে মনে হচ্ছে জোড়াফুলেরই দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছে। এমনকী সিবিআই-ইডির ভয়ে আবার অনেক নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন, সেই আবহ তৈরিরও চেষ্টা হচ্ছে। এতে জনমানসে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে বিজেপি।

এখানেই থামেননি সায়ন্তন। তিনি এও লিখেছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতি সহ নানান ইস্যুতে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে তখন তার ফায়দা নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে সিপিএম। সায়ন্তনের কথায়, সেপ্টেম্বর মাসে সিপিএমের ছাত্র-যুবরা বিরাট সমাবেশ করল কলকাতায়। একটা ট্রেন, বাস ভাড়া না করেই সেই জমায়েত করে দিয়েছিল বামেরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Sayantan Basu

আরো দেখুন