৭.৫ কোটি অসংগঠিত শ্রমিকের ব্যাঙ্ক-আধার লিঙ্ক করাতে ব্যর্থ মোদী সরকার!
সাড়ে সাত কোটি শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নেই আধারের সংযোগ! আর এতেই বিপদে পড়েছে মোদী সরকার (Modi Govt)। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় শ্ৰমমন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, ই-শ্রম পোর্টালে নাম লেখানো সাড়ে সাত কোটি অসংগঠিত শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধারের কোনও সংযোগই নেই। বিজেডির সাংসদ সুজিত কুমারের প্রশ্নের লিখিত জবাবে রাজ্যসভায় শ্রম মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি জানিয়েছেন, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২৮.৪ কোটি অসংগঠিত শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৭ কোটি ৬০ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank Account) সঙ্গে আধার নম্বরের সংযোগই করানো নেই। দফায় দফায় নির্দেশিকা জারি করে, ই-শ্রম পোর্টালে নাম লেখানো সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারীদেরই তথ্য আপডেট করতে বলছে শ্রমমন্ত্রক। ফলে এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, পোর্টাল চালুর আগে কেন পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হল না?
২০২১ সালের ২৬ আগস্ট দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও কর্মচারীদের সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবার অধীনে নিয়ে আসার লক্ষ্য ই-শ্রম পোর্টাল চালু করে শ্রমমন্ত্রক। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রে ২৮ কোটি ৪৭ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭৭ জন শ্রমিক পোর্টালে নাম লিখিয়েছেন। কৃষিক্ষেত্র থেকে সর্বাধিক অসংগঠিত শ্রমিক (unorganized workers) পোর্টালে নাম লিখিয়েছেন। এর পরেই রয়েছেন গৃহপরিচারক-পরিচারিকারা ও নির্মাণ শ্রমিকরা।
যদিও আধার কার্ড না থাকার কারণেই, এমন সমস্যা হয়েছে কি না, তা জানাননি মন্ত্রী। অন্যদিকে, শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের ঠিকানার প্রয়োজন হয়, সেই কারণেই আধার প্রয়োজন। নাম নথিভুক্তকরণের সময় আধার ডেটাবেস থেকে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা কর্মচারীর ঠিকানা সরাসরি ই-শ্রম পোর্টালে চলে আসে। অসংগঠিত শ্রমিক-কর্মচারীরা সেল্ফ-ডিক্লারেশনের মাধ্যমে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা জানাতে পারেন। কিন্তু আধার সংযোগ না থাকলে, ঠিকানার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।