ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী রিয়ার খুনের পর কেন গ্রেপ্তার তাঁর স্বামী? জেনে নিন
ছিল গা সিউড়িয়ে ওঠা ঘটনা। ঝাড়খণ্ডের ইউটিউবার রিয়া কুমারী তাঁর স্বামী আর সন্তানকে নিয়ে কলকাতার দিকে আসছিলেন ছুটি কাটাতে। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলায় হাইওয়ে ডাকাতির চেষ্টার সময় ঝাড়খণ্ডের এই অভিনেতাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা হয়েছিল, তাঁর সন্তানের সামনেই। হাসপাতালে মৃত্য হয় তাঁর।
এরপর বৃহস্পতিবার অভিনেত্রী রিয়া কুমারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, ঠিক তাঁর হত্যার একদিন পরই। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া জানিয়েছেন, প্রকাশ কুমারকে আদালতে পেশ করা হবে।
৩০ বছর বয়সী কুমারী তার স্বামী প্রকাশ কুমার এবং তাদের দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে কলকাতায় আসছিলেন। কুমার, যিনি নিজেকে একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসাবে পরিচয় দেন, তিনি পুলিশকে জানান যে সকাল ৬ টার দিকে রাজাপুরের জাতীয় সড়ক ১৬-এর মহিশ্রেখা সেতুর কাছে তিনি তাদের গাড়ি থামালে তাদের উপর হামলা করা হয়।
জানা যাচ্ছে, বাগনান থানায় পুলিশের কাছে রিপোর্ট লেখানোর সময় স্বামী প্রকাশের বয়ানে নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ে প্রথম থেকেই। সন্দেহ জাগতেই প্রকাশকে দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ। বেরোতে থাকে আরও অসঙ্গতি, উত্তর না পাওয়া প্রশ্ন। তারপর বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশি সূত্রে জানা গেছে প্রকাশের দ্বিতীয় স্ত্রী রিয়া কুমারী। জানা গেছে যে তাঁদের দম্পতি জীবনে একাধিক সমস্যা ছিল। এর আগেও রিয়াকে প্রকাশ মারধর করার পাশাপাশি খুনের হুমকি দিয়েছে। এবার এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে শুধু প্রকাশ কুমারের বিরুদ্ধেই নয়। অভিযোগ দায়ের হয়েছে তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়ের বিরুদ্ধেও।
দুজনের মধ্যে রিয়া কুমারী ইউটিউবার হিসাবে কেরিয়ারেও বেশি সফল ছিলেন। প্রশ্ন জাগছে, তাহলে কি স্ত্রীর সাফল্য মেনে নিতে পারেনি প্রকাশ? আদৌ কি ডাকাতি হয়েছে? না হলে, তবে কি সুপারি কিলাররাই এসে প্লানমাফিক খুন করেছে রিয়াকে? তাদের সুপারি কে দিল? এরকম অজস্র প্রশ্নের জবাব বেরিয়ে পর্বে পুলিশি তদন্তেই, এরকমই আশা দেখা যাচ্ছে।