বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

জল্পেশে শিবের মাথায় জল ঢাললেন ভক্তরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই

July 21, 2020 | 2 min read

করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার শৈবতীর্থ জল্পেশে শ্রাবণী মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। মেলা বন্ধ থাকলেও শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার থেকেই মন্দিরের গর্ভগৃহে এসে ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালতে পেরেছেন। মান্দির কমিটি জানিয়েছে, এদিন সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে মাস্ক পরে, হাত স্যানিটাইজ করে কিছু ভক্তকে শিবের মাথায় জল দিতে দেওয়া হয়।

মন্দির পরিচালন বোর্ডের চেয়ারম্যান গীরেন্দ্রনাথ দেব বলেন, এ বছর শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার কিছু ভক্ত পুজো দিতে আসেন। গর্ভগৃহে প্রবেশের জন্য ২০ ও ১০০ টাকার টিকিট করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে ৬-৭ জনকে প্রবেশ করানো হয়। এ বছর অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়নি। পুলিস মন্দিরে রয়েছে।

প্রতিবছর গোটা শ্রাবণ মাসে ময়নাগুড়ি ব্লকের জল্পেশে শ্রাবণী মেলা হয়। এই মেলায় লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম হয়। মন্দির প্রাঙ্গণ সহ মেলার মাঠে বসে বিরাট মেলা। মন্দির কমিটির দাবি, জল্পেশের ইতিহাসে এই প্রথম মেলা হচ্ছে না। রবিবার রাত থেকেই ভক্তরা মন্দিরে আসতে শুরু করেন। তাঁরা সোমবার ভোরে শিবের মাথায় জল ঢেলে মেলায় কেনাকাটা করে বাড়ি চলে যান। শুধু জলপাইগুড়ি বা উত্তরবঙ্গ থেকেই নয় অসম, সিকিম থেকেও ভক্তরা আসেন।

তবে এ বছর ছবিটা একেবারেই আলাদা। রাতভর দলে দলে ভক্ত আসার পরিচিত ছবিটা এবার দেখা গেল না। অন্যান্য বছর ভক্তরা তারস্বরে মাইক বাজিয়ে দলে দলে মন্দিরে আসতেন। এবার কয়েকজন এলেও সেই আয়োজন কেউই করেননি। তবে যাঁরা এদিন আসেন তাঁদের প্রত্যেককেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূল করা হয়। তাঁদের মন্দিরে প্রবেশের আগে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে হাতে স্যানেটাইজার দেওয়া হয়। ভক্তরা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে লাইন ধরে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে শিবের মাথায় জল ঢেলেই পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসেন। গর্ভগৃহে বেশি সময় দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। এ বছর মেলা না বসায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়লেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মেলার ক’দিন তাঁরা যে টাকা রোজগার করতেন তা দিয়ে কয়েকমাস অনায়াসে তাঁরা সংসার চালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু এ বছর তা আর সম্ভব হল না। মেলা না হওয়ায় ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিরও যথেষ্ট ক্ষতি হল। মেলার মাঠে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য এবং তিস্তার ঘাটে জল নেওয়ার জন্য ঘাটপার বানাতে যে টেন্ডার ডাকা হয় সেটা এবার হয়নি।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, টেন্ডার না ডেকে ক্ষতি হল ঠিকই কিন্তু মানুষের স্বার্থেই মেলা হচ্ছে না। মানুষ সুস্থ থাকুক সেটাই আমরা চাইছি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#social distance, #shiv puja, #Jalpesh

আরো দেখুন