ক্রিকেটের মাঠ ছেড়ে ভোটের ময়দানে পৌঁছল ‘গম্ভীর-কোহলি’ বিবাদ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সম্প্রতি আইপিএল ম্যাচ শেষে বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিরাট কোহলি ও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। যা নিয়ে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দুই ক্রিকেটারের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল। এবার ক্রিকেটের মাঠ ছেড়ে সেই বিতর্ক পৌঁছে গিয়েছে কর্ণাটকের ভোট ময়দানে।
বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের এহেন আচরণে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন বিপক্ষ দলগুলি। বিরোধী দলের এক নেতৃত্বের মতে, গম্ভীর সাংসদ, প্রাক্তন ক্রিকেটার, তিনি জার্সিতে দেশের নাম ব্যবহার করেন। মাঠে তাঁর আচরণ রাস্তার গুন্ডাদের মতো। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ব্যক্তিদের ভোট দেওয়ার আগে দেশবাসীদের একাধিকবার ভাবা উচিত।
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শেষ বলে আরসিবিকে হারিয়েছিল লখনৌ। এরপর গ্যালারির উদ্দেশ্যে ঠোঁটে আঙুল রেখে মুখ বন্ধের ইঙ্গিত দেখিয়েছিলেন গম্ভীর। পাল্টা ম্যাচে তই ফিরিয়ে দিলেন বিরাট। খেলার শেষে রীতি মেনে দুই দলের ক্রিকেটাররা হাত মেলাচ্ছিলেন। তখন নবীন ও বিরাট বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর কোহলি যখন লখনৌয়ের কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন মাঠে এসে কাইলকে সরিয়ে নেন গম্ভীর। এই দেখে আগ্রাসী হয়ে পড়েন কোহলি। কিছু বলতে গম্ভীরের দিকে তেড়ে যান তিনি। লখনৌয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল গম্ভীরকে ঠেকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গম্ভীর শান্ত হননি। তবে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন গম্ভীর।
বিসিসিআই শাস্তি হিসেবে ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নিলেও কোনও কড়া পদক্ষেপ করেনি। কারণ অবশ্য দুই ক্রিকেটারের বিজেপি যোগ। গম্ভীর নিজে বিজেপি সাংসদ। আর বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কোহলির সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত। তবে সমাজ মাধ্যমে এ বিষয়ে ঝড় উঠেছে, নেটিজেনরা গম্ভীরকে আক্রমণ করেছেন। তাদের বক্তব্য, বিজেপি সাংসদ গম্ভীরের এমন আচরণ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সরাসরি কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, গেরুয়া সাংসদদের কি মোদী এমন শিক্ষাই দেন?