দেশের খেলোয়াড় তৈরির আঁতুড়ঘর বিপন্ন, কোন পথে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এদেশে খেলোয়াড় তৈরির পীঠস্থান হয়ে উঠছে মনিপুর এবং হরিয়ানা, শেষ কমনওয়েলথ গেমসের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে এ কথা। শেষ কয়েক বছরে যা যা আন্তর্জাতিক ও জাতীয়স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে, সেখানে এই দুই রাজ্য থেকে খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিত্ব ছিল সর্বাধিক। দেশকে বারবার সাফল্য এনে দিয়েছেন, দুই রাজ্যের খেলোয়াড়রা। মনিপুর থেকে মেরি কম, মীরাবাঈ চানু, সুশীলা চানু, উদন্ত সিং, সরিতা দেবী মতো ক্রীড়াবিদরা উঠে এসেছে। বজরং পুনিয়া, সাইনা নেওয়াল, অনুপ কুমার শেফালী বর্মা, রানী রামপাল, সুমিত নাগাল, যোগেশ্বর দত্ত, ববিতা কুমারী, ভিনেশ ফোগত, সাক্ষী মালিক, মনু ভাকের প্রমুখের মতো খেলোয়াড়রা উঠে এসেছেন হরিয়ানা থেকে। দেশের হয়ে জিতেছেন পদক। হয়ে উঠেছেন রোল মডেল। এঁদের দেখেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের তরুণ-তরুণীরা এগিয়ে আসছে, খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমে বদলে গিয়ে ছবিটা।
মনিপুর আজও অশান্ত, কত মানুষের যে মৃত্যু হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। প্রাণ বাঁচাতে অনেক নিজ ভূমি ছেড়ে এসেছে। সম্পদ, সম্পত্তি, জীবন হানি ঘটে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মনিপুর এখন ধ্বংসস্তুপ। জনজাতি ও আদিবাসী কাজিয়ায় উত্তাল গোটা রাজ্য। কবে শান্তি ফিরবে অজানা! এই আবহে কোথায় খেলা? মাথাচাড়া দিচ্ছে জঙ্গিবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ।
অন্যদিকে, আন্দোলন চালাচ্ছেন ভিনেশ ফোগত, বজরং পুনিয়ার মতো হরিয়ানার কুস্তিগিররা। সম্প্রতি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ দৃশ্য ভাল চোখে দেখেনি দেশবাসী। গোটা হরিয়ানা ফুঁসছে। বিদ্রোহের আবহ তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে। দেশের খেলোয়াড় তৈরির প্রধান দুই আঁতুড়ঘর এখন বিপন্ন, কী হবে তরুণ খেলোয়াড়দের স্বপ্নের? কারা দেশকে বিশ্বজয়ী করবেন? তারা প্রস্তুতি নেবেনই বা কী করে? প্রশ্নের উত্তর নেই।