মোদীর ফ্রান্স যোগ! কী শুনে চমকে উঠছেন বিরোধী থেকে নেটিজেনরা সকলেই?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদীর সঙ্গে এমবাপের দেশের সম্পর্ক চার দশকের? এমনই দাবি করলেন খোদ মোদী। বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানের অতিথি হয়ে ফ্রান্স গিয়েছেন মোদী। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কের দীর্ঘ দিনের বলে দাবি করে বসলেন তিনি। লা সেইন মিউজিকাল প্রেক্ষাগৃহে, ফ্রান্সে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ফ্রান্সের প্রতি তাঁর ভালবাসা দীর্ঘদিনের। প্রায় ৪০ বছর আগে গুজরাতের আহমেদাবাদে ফরাসি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, অ্যালিয়াঁস ফঁসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। নিজেকে সেই সংস্থার প্রথম ভারতীয় সদস্য হিসেবে দাবি করছেন মোদী। মোদী আরও বলেন, কয়েক বছর আগে, ফরাসি সরকার তাঁকে সেই পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপি দিয়েছিল। মোদী আলিয়াঁস ফঁসের সদস্যপদ গ্রহণের কথা বলার পরেই, প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের তরফে পরিচয়পত্রের একটি ছবি ও রসিদ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৮১ সালের ৫ ডিসেম্বর ১২৫ টাকা দিয়ে সদস্যপদ নিয়েছিলেন মোদী।
ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘অ্যালিয়াঁস ফঁসে’ বিশ্বে ফরাসী ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচার করে। মোদীর দাবি নিয়ে শোরগোল গোটা ভারতে। ভক্তরা মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, অন্যদিকে বিরোধীরা দিচ্ছেন খোঁচা। নেটিজেনদের আবার ব্যাপারটা ঠিক হজম হচ্ছে না। ওই সংস্থার আহমেদাবাদের তদানিন্তন ডিরেক্টর, ৭৩ বছরের অ্যাকিলি ফর্লার জানিয়েছেন, মোদী অ্যালিয়াঁস ফঁসে-র সদস্য হলেও, সংস্থার প্রথম ভারতীয় সদস্য তিনি নন।’ ফর্লার আরও বলছেন, সে সময় মোদী যে সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন বা আরএসএস-র শাখা প্রচারক ছিলেন সে’কথা তারা জানতেন না।
অ্যালিয়াঁস ফঁসের পরিচয় পত্র ও রসিদে দেখা গিয়েছে, মোদীর ক্রমিক সংখ্যা এ-০১১ অর্থাৎ তিনি প্রথম ভারতীয় সদস্য নন, তাঁর আগে আরও দশ জন ভারতীয় অ্যালিয়াঁস ফঁসের সদস্য হয়েছেন।সংস্থার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বর্ষীয়ান ফটোগ্রাফার পরমানন্দ দলওয়াড়ির কথায়, সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রথমদিন থেকে তিনি জড়িত৷ তাঁর দাবি, মোদীর সঙ্গে তাঁর কোনও দিন কোনও সাক্ষাৎ হয়েছে বলে মনে পড়ছে না।
মোদী তো বহু কিছুই দাবি করেন কিন্তু অধিকাংশ সময়তেই তার কোনও প্রমাণ থাকে না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ গিয়েও মোদী মুক্তি যুদ্ধের সময় গ্রেপ্তার হাওয়ার দাবি করেছিলেন, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছিল। বিরোধীদের প্রশ্ন, মোদীর ফ্রান্স কানেকশন তাঁর অনুগামী, ভক্তরা খুশি হতে পারেন কিন্তু আম জনতার তো কিছু যাবে আসবে না?