মণিপুরের ছায়া এবার হরিয়ানায়! গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত ৫, আহত কমপক্ষে ৪৫
নুহ ও ফরিদাবাদে কারফিউ জারি করা হয়েছে। গুরুগ্রামে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ থাকছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মণিপুরের ছায়া দেখা গেল হরিয়ানায়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে হিংসা অব্যাহত হরিয়ানার একাংশ। জ্বলল আগুন। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হরিয়ানার হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫। নুহ ও ফরিদাবাদে কারফিউ জারি করা হয়েছে। গুরুগ্রামে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ থাকছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
জানা গেছে, ধর্মীয় মিছিলে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হরিয়ানার নুহ। অশান্তির জেরে এখনও পর্যন্ত গুরুগ্রামের মসজিদের ইমাম ও দু’জন হোমগার্ড সহ মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৪৫।
গতকালই হিংসার জেরে দুই হোমগার্ড-সহ এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অভিযোগ, ওই দুই হোমগার্ডকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নুহের খেদলা মোড়ের কাছে যখন একদল মানুষ ধর্মীয় শোভাযাত্রা আটকানোর চেষ্টা করে তখনই ওই ২ হোমগার্ডকে গুলি করা হয়। এরপর গোটা রাত ধরে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। সেই সময় অন্য এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে আরও ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রের দাবি, বজরং দলের এক সদস্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ‘আপত্তিকর’ ভিডিও পোস্ট করেন। যা ভাইরাল হয়েছিল। এর জেরেই এই সংঘর্ষ। বজরং দলের ওই সদস্য মনু মানেসার এবং তাঁর সহযোগীরা একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। এলাকায় অপরাধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত মনুকে ধর্মীয় মিছিলে দেখার পরেই অশান্তি ছড়ায় বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার হরিয়ানার গুরুগ্রামের নুহ-তে ‘ব্রিজ মন্ডল জলাভিষেক যাত্রা’র আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুরুগ্রাম-আলোয়ার হাইওয়েতে মিছিলে বাধা দেয় একদল যুবক। তাঁরা মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়। তার জেরেই অশান্তির ঘটনা । রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। মিছিলে অংশগ্রহনকারী মহিলা ও শিশু-সহ এমন ২ হাজার ৫০০ জন স্থানীয় একটি মন্দিরে আশ্রয় নেন।