কী ঘটেছিল সে’দিন? স্বপ্নদীপকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ট্যাক্সি চালক কী জানাচ্ছেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্বপ্নদীপের মৃত্যুর তদন্ত শুরু হতেই, ধাপে ধাপে উঠে আসছে নানান তথ্য। ক্রমশ জাল বিস্তার করছে রহস্য। নয়া তথ্য সামনে এল তুলসী যাদবের বয়ানে। ট্যাক্সি চালক তুলসী যাদবই রক্তাক্ত স্বপ্নদীপকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।
কী জানাচ্ছেন ট্যাক্সি চালক তুলসী যাদব?
ইমার্জেন্সি। গাড়ি ঘোরাও- ঘটনার দিন রাতে রক্তাক্ত ছেলেটাকে গাড়িতে তুলে এ তুলেকথাই বলেছিল ‘ওরা’। সঙ্গে সঙ্গে যাদবপুরের মেইন হস্টেল থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তুলসী যাদব। হস্টেল থেকে রক্তাক্ত স্বপ্নদীপকে নিয়ে বেরোনোর পর কী হয়েছিল? ঘটনাক্রমের সন্ধান করতে বৃহস্পতিবার যাদবপুর থানা সিআইটি রোডের বাসিন্দা তুলসী যাদবকে ডেকে পাঠিয়েছিল। তুলসী যাদবের ট্যাক্সিতেই রক্তাক্ত অবস্থায় হস্টেল থেকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ট্যাক্সিচালককে সঙ্গে নিয়ে এন্টালির উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। কারণ, ট্যাক্সিটি সেখানেই রয়েছে। সাংবাদিকদের সামনে সেদিনের স্মৃতি তুলে ধরেন তুলসীবাবু। তিনি জানান, মাথা থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছিল পড়ুয়ার। মাথায় কেবল একটা ফেট্টি বাঁধা ছিল। তিনি আরও জানান, ছেলেটির সারা মুখ ফেটে গিয়েছিল।
ট্যাক্সিচালক বলেন, রাত ১০টার বেশি সময়ের ঘটনা এটি। তিনি সে’সময় যাত্রী নামিয়ে মেইন হস্টেল পেরোচ্ছিলেন। তাঁর কথানুযায়ী, তখনই কয়েকজন তাঁকে দাঁড় করায়। জানায়, ইমার্জেন্সি আছে। তিনি দেখেন, পাঁজাকোলা করে তাঁর ট্যাক্সিতে তোলা হচ্ছে একটি ছেলেকে। তুলসী যাদবের কথায়, তখন ছেলেটির গায়ে কোনও জামা-প্যান্ট ছিল না। মাথায় ফেট্টি বাঁধা। একটা গামছা ঢাকা দেওয়া ছিল। এরপরই কেপিসির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তুলসীবাবু। তিনি আরও জানান, পাঁচ থেকে ছ’জন গাড়িতে উঠেছিল। তারাই হাসপাতালে ট্যাক্সির ভাড়া মিটিয়ে দেয়। তিনি চলে আসেন। ট্যাক্সিটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হতে পারে। ট্যাক্সির পিছনের সিট থেকে রক্তসহ অন্যান্য কোনও নমুনা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।