INDIA জোটের চাপেই রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়েছে মোদী সরকার, দাবি বিরোধীদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার দুপুরে রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা করে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এক্স (টুইটার) হ্যান্ডলে জানান, রাখী এবং ওনাম উপলক্ষ্যে রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়েছেন মোদী। কিন্তু বিরোধীরা এক জোট হয়ে বলছেন উৎসবের মরশুম বলে নয়, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের চাপে পড়েই দাম কমিয়েছে মোদী সরকার। দেশে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট তৈরি হতেই রীতিমতো চাপে বিজেপি। বিরোধীদের দাবি, চব্বিশের ভোট তদুপরি পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, বিরোধী জোটের চাপে পড়েই দাম কামানো হয়েছে। এক্স (টুইটার) হ্যান্ডলে তিনি লিখলেন, ‘‘বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি হওয়ার পর মাত্র দুটি বৈঠকে বসেছে। তার মধ্যেই রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে কমে গেল।’’
মোদীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি এক্সে লিখছেন, “হঠাৎ করে এলপিজির দাম কমলেন মোদী। কিন্তু এখন কেন? কর্নাটকে বিজেপি হারের মুখ দেখেছে। এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সে রাজ্যের ভোটে অন্যতম ইস্যু ছিল।
ইন্ডিয়া জোটের দুটি বৈঠক সফল হয়েছে। তৃতীয়টি দুদিনের মধ্যে বসতে চলেছে।” তিনি আরও লেখেন, তিন মাসের মধ্যে পাঁচ রাজ্যে ভোট, ছয় মাস পর লোকসভা ভোট, গদি ধরে রাখতে মরিয়া মোদী আগামী মাসগুলোতে এমন আরও ‘উপহার’ ঘোষণা করতে পারেন।
এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কামানোকে জুমলা বলে কটাক্ষ করেন এনসিপির কার্যকরী সভাপতি তথা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। তিনি লেখেন, “দুশো টাকা দাম কমিয়ে কী হবে? এখন রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১১৫০ টাকা, সরকারের ৫০০ বা ৭০০ টাকা দাম কমানো উচিত ছিল। যা হল সেটা ভোটমুখী জুমলা। মোদী সরকার গত সাড়ে চার বছরের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ভাবছে না। বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে কর্ণাটকের মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছে, সেই কারণেই মোদী সরকার ভয় পেয়েছে।”
এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তেজস্বী লিখছেন, “এটাই হল চাপ, ইন্ডিয়া জোটের দ্বিতীয় মিটিংয়ের পরই বিজেপি রান্নায় গ্যাসের দাম দুশো টাকা কমালো। যখন সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে, তারপর ইন্ডিয়া জোটের শক্তি দেখেবেন আপনারা (দেশবাসী)”
সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি গ্যাসে দাম কমানোকে ভোটমুখী চমক হিসেবে দেখছেন। তিনি এক্সে লিখছেন, “মোদী সরকার পেট্রোপণ্যের উপর সেজ, সারচার্জ আদায় করা বন্ধ করলেই আম জনতা আরও কম দামে সিলিন্ডার, পেট্রোল, ডিজেল কিনতে পারবে। মোদী ভোটের ফলাফলের কথা ভেবে ভয় পেয়ে নির্বাচনী চমক দিচ্ছেন।”