হুমায়ুনের ঘরওয়াপসি, প্রত্যয়ী তৃণমূল
আবারও বিজেপির উইকেট ফেলতে চলেছে তৃণমূল। বিপ্লব মিত্রর পর এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ হলেন হুমায়ুন কবীর। বৃহস্পতিবার তাঁর আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে দিল্লিতে ঘটা করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। কিন্তু দুবছরের মধ্যেই মোহভঙ্গ হল তাঁর।
তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে হুমায়ুন বলেছেন, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে ভুল করেছিলাম। পুরনো দলেই ফিরছি। যত দিন রাজনীতি করব, দিদিই আমার নেত্রী। তাঁর কথা মতোই কাজ করব।’’ ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে বহরমপুরের জেলা দফতরে হুমায়ুনের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন হুমায়ুনের কয়েকজন অনুগামীও।
তবে দলবদল হুমায়ুনের কাছে একেবারেই নতুন নয়। এক সময় বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর ডান হাত ছিলেন তিনি। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। ২০১১ সালে রেজিননগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও কংগ্রেসের টিকিটেই জিতেছিলেন।
২০১২ সালে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। মন্ত্রিত্বের পুরস্কারও মিলেছিল। তবে ঠোঁটকাটা হুমায়ুন দলের তদানীন্তন জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্কে ‘বিরূপ’ মন্তব্য করায় দল তাঁকে ছেঁটে ফেলেছিল। ২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে।
পরের বছরে পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরলেও ২০১৮ সালে ফের দল বদলে পা বাড়িয়েছিলেন বিজেপিতে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি’র প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু এনআরসি নিয়ে দলের সঙ্গে তাঁর গোল বেঁধেছিল। গত বছরই ডিসেম্বর মাসে হুমায়ুন বলেছিলেন, ‘‘যে দলেই থেকেছি মুর্শিদাবাদের মানুষ আমায় ভালবেসে পাশে থেকেছেন। কিন্তু নাগরিকত্ব বিল সেই সব মানুষের স্বার্থে খাঁড়ার মতো নেমে আসছে। তাই বিজেপি-তে আর থাকব না।’’ অবশেষে আজ সরকারিভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন হুমায়ুন।