দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বাংলার দুগ্গা পুজো: শতাব্দী প্রাচীন উদয় গ্রামে জমিদার বাড়ির পুজোর ইতিহাস

October 3, 2023 | 2 min read

উদয় গ্রামে জমিদার বাড়ির পুজো, প্রতীকী চিত্র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৪৫০ বছরের প্রাচীন উদয় গ্রামের জমিদার বাড়ির দুগ্গা পুজো। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাচীন দুর্গা পুজোর মধ্যে অন্যতম উদয় জমিদার বাড়ির পুজো। জমিদারের পুরোনো রীতিনীতি আজও চলে আসছে এই বাড়িতে। তন্ত্র মতে মায়ের পুজো হলেও সাবেকি প্রতিমায় পুজোর চল এখানে। এক সময় জমিদার বাড়ির ঠাকুর দালানে হতো পুজো কিন্তু এখন নতুন মন্দিরে দেবীর পুজো হয়। পুজোর ৫ দিন আয়োজন করা হয় হাজার হাজার মানুষের ভোজনের।

জানা গিয়েছে, অভিভক্ত দিনাজপুরের রাজা ছিলেন গণেশ। সেই সময় থেকেই প্রজাদের মঙ্গল কামনায় জমিদার ঋষিকেশ শর্মা রায় দুর্গা পুজো প্রচলন করেন। প্রতিবছর জমিদারের ১১ শরিক মিলে পুজোর আয়োজন করেন। গ্রামে পুজোকে ঘিরে বসে মেলাও। পুজোর ৫ দিন চণ্ডীমঙ্গল গানের‌ও আয়োজন করা হয়।

এছাড়াও পরিবারের সদস্য সূত্রে জানা গিয়েছে, অবিভক্ত বাংলার দিনাজপুর রাজবাড়ির অন্তর্গত উদয় অঞ্চলের জমিদার ছিলেন ঋষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিটিশ শাসন কালে পলাশির যুদ্ধের পর সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানের খেতাব অর্জন করেছিলেন ঋষিকেশ বন্দোপাধ্যায়। তখন ইংরেজ গভর্নর বন্দোপাধ্যায় উপাধি পরিবর্তন করে শর্মা রায় উপাধি প্রদান করেন। ১৭৪২ সালে বর্গীর হামলার জেরে পুজোয় পুরোহিতের অভাব দেখা দিয়েছিল। সেই সময় জমিদার ঋষিকেশ শর্মা রায় ভগবান ভট্টাচার্যকে পুরোহিতকে বর্ধমান থেকে উদয় গ্রামের পূর্বপাড়ায় নিয়ে আসেন। আজ‌ও বংশানুক্রমে পুরোহিতের পরিবার পুজো করে আসছে এই জমিদার বাড়িতে।

গঙ্গারামপুর উদয় জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোতে এক হাজার আটটি বেলপাতা দিয়ে টানা ৩দিন মায়ের পুজো করা হয়। মহাসপ্তমীর থেকে নবমী পর্যন্ত জ্বলে যজ্ঞকুণ্ডলী। সেই যজ্ঞের আগুন নেভার পর পরিবারের সদস্যরা তা দিয়ে তিলক ধারণ করেন। তন্ত্র মতে মাছ, পাঁঠার মাংস দিয়ে হয় দেবীর ভোগ। এছাড়া বাল্যভোগ ও অন্নভোগ‌ও দেওয়া হয়। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত গ্রামবাসীদের প্রসাদ খাওয়ানো হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#durga puja, #South Dinajpur, #Durga Puja 2023, #Zamindars House

আরো দেখুন