ডাব্বা, কাওয়া! অপরাধীদের ‘কোড ল্যাঙ্গুয়েজ’গুলো জানেন কি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পুজোর শপিংয়ে মজে আছেন? ভিড়ে ঠাসা নিউ মার্কেটে বা হাতিবাগানে পুজো-শপিং করছেন? হঠাৎ করেই কিছু অদ্ভুত শব্দ কানে এল। ডাব্বা, কাওয়া, লালি, তিন আঁখে বা আরও দুর্বোধ্য শব্দ কানে এল। মানে খুঁজতে যাবেন না। আগে পকেট ও মোবাইল সামলাতে হবে। নইলে কিছুক্ষণ পর টের পাবে পকেটমার কবলে পড়েছেন আপনি।
শব্দগুলো আসলে অপরাধীদের ‘কোড ল্যাঙ্গুয়েজ’। কোনও গ্যাং মোবাইলকে বলে ‘কানপাট্টি’। আবার কেউ কেউ ‘ডাব্বা’ বলে। সাংকেতিক শব্দের মাধ্যমে সহকারীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, হাতসাফাই সেরে ফেলতে হবে। তিনটি ক্যামেরা লেন্সযুক্ত মোবাইলকে বলা হয় ‘তিন আঁখে’।লালবাজার চোখ-কান খোলা রাখার নিদান দিচ্ছে। কারণ শারদোৎসবের মুখে প্রতি বছর ভিনরাজ্য থেকে কলকাতায় আসে অপরাধীদের দল। উৎসবমুখর মানুষের পকেট কাটাই তাদের পেশা। বানজারা, ইরানি, সাউথ ইন্ডিয়ান, গুজরাত গ্যাং, ঝাড়খণ্ড গ্যাংয়ের মতো ভিন রাজ্য থেকে আসা পকেটমার, লিফ্টার, কেপমারদের ‘সোর্স’ বানিয়ে অনেক সময়ই অপরাধের কিনারা করেন পুলিশরা। গোয়েন্দাদের অনেকের সেই ভাষা রপ্ত হয়ে গিয়েছে। পুলিশের সতর্কবার্তা, অদ্ভুত শব্দবন্ধ কানে এলেই আম জনতা যদি সচেতন হয়, তবে ব্যর্থ হবে দুষ্কৃতীরা।
পুজোর ভিড়ে গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে ভিন রাজ্য থেকে আসা তন্বী ও সুন্দরীদের গ্যাং। গুজরাত ও দক্ষিণ ভারত থেকে আসা গ্যাংয়ের সুন্দরীরা ভিড়ের মধ্যে পুরুষদের কার্যত প্রলুব্ধ করে, সেই ফাঁদে পা দিলেই বিপদ। কৌশলে মোবাইল, পার্স হাতিয়ে নিতে একটুও দেরি করবে না অপরাধীরা। ভিড় বাসে ‘অপারেশন’ চলে। ফলে পথঘাটে চোখ-কান খোলা রাখা কথাই বলছেন পুলিশকর্মীরা।