রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মেলেনি বিমা ও আর্থিক সাহায্য, করোনা-যোদ্ধাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ

August 10, 2020 | 2 min read

‘করোনা যোদ্ধা’ সেকেন্ড এএনএম (অক্সিলারি নার্স মিডওয়াইফ), আশাকর্মী এবং পুরস্বাস্থ্যকর্মীরা এ বার তাঁদের প্রতি সরকার অবহেলার অভিযোগে সরব হয়েছেন। 

তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘করোনা যোদ্ধা’দের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে তা কেন তাঁরা পাচ্ছেন না? কাজ করতে গিয়ে একের পর এক তাঁরা করোনা-আক্রান্ত হচ্ছেন, একাধিক কর্মী ইতিমধ্যে মারাও গিয়েছেন। করোনা মোকাবিলার কাজ করা ‘ফ্রন্টলাইনার’ স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হলে তাঁদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে সরকারি নির্দেশ জারি হয় গত পয়লা এপ্রিল। এই কর্মীদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে নির্দেশ জারি হয়েছিল গত ৭ জুলাই। 

সেকেন্ড এএনএমদের সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ ইউনাইটেড অক্সিলারি নার্সেস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন। গত ৪ অগস্ট মুর্শিদাবাদের সালারের ভরতপুর-২ ব্লকের সেকেন্ড এএনএম সর্বানী ঘোষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ টাকার জন্য ২৫ জন আক্রান্ত আবেদন করেছেন। কিন্তু টাকা পেয়েছেন ১ জন। অভিযোগ, বহু জায়গায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ফর্ম পূরণ করতে দিচ্ছেন না। যেমন, মালদহের কালিয়াচকে আক্রান্ত সেকেন্ড এএনএমকে বলা হয়েছে, তিনি হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন বলে টাকার আবেদন করতে পারবেন না। মালদহ ইংলিশবাজারের রাজিয়া সুলতানকেও একই কথা বলা হয়েছে বলে অভিযোগ। হাওড়ার জগৎবল্লভপুর ব্লক ও বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকেও এই অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের মধ্যে প্রথম আক্রান্ত সেকেন্ড এএনএম রাজারহাটের সালামা বিবি আবেদন করার দেড় মাস পরেও টাকা পাননি।

একই অবস্থা আশা কর্মীদের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৭৭ জন আশা কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২ জন। রাজ্য আশা কর্মী ইউনিয়নের প্রধান ইসমত আরা খাতুনের অভিযোগ, মৃতের পরিবার ও আক্রান্তদের কেউ এখনও পর্যন্ত টাকা পাননি। অনেক জায়গায় হাসপাতালেও আক্রান্ত কর্মীর ঠাঁই হচ্ছে না। প্রতিবাদে দু’দিন কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। 

পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের সভানেত্রী সুচেতা কুণ্ডু অভিযোগ করেছেন, ১২৬টি পুরসভায় এখনও পর্যন্ত তাঁদের ২১ জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু টাকা পাননি কেউ। মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো সাকুল্যে মাসিক ৩১২৫ টাকা বেতন পাওয়া এই কর্মীদের বাড়তি মাসিক ১ হাজার টাকার যে করোনা ভাতা দেওয়া শুরু হয়েছিল সেটাও জুলাই মাস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘এটা হয়ে থাকলে অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। অবিলম্বে এটা খতিয়ে দেখা হবে।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus in West Bengal, #insurance, #COVID Warriors, #ANM

আরো দেখুন