তৃণমূলে খুশির জোয়ার, যোগ দিলেন কয়েকশো পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারী

ফলে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সেখানে জমি খুব একটা শক্ত করতে পারেনি শাসকদল। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে আন্দোলনকারীরা তৃণমূলে আসায় আশার আলো দেখছে শাসকদল।

August 10, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

এবার ভাঙড়ের জমি-জীবিকা ও বাস্তু কমিটিতে ভাঙন। জমি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত প্রায় তিনশো জন কমিটি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। রবিবার পোলেরহাট বাজারের একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। 

তৃণমূল সুত্রের খবর, ভাঙড়ের প্রাপ্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam), ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অহিদুল ইসলাম-সহ যুব নেতা হাকিমুল ইসলামের নেতৃত্বে পাওয়ার গ্রিড এলাকার শ‍্যামনগর, স্বরুপনগর, মিদ্দে পাড়া, মাছিভাঙ্গা গ্রামের প্রায় তিনশো মানুষ জমি কমিটি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। এপ্রসঙ্গে আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে নেই জমি কমিটি, তাঁরা আন্দোলনের নামে মানুষের টাকা লুট করেছে। তাই জমি কমিটি ছেড়ে অনেকেই তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেছে।’’

Bhangar-2

এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশীষ চক্রবর্তী বলেন, “ভাঙড়ের বহু মানুষ আজ জমি কমিটি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছে। এইভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে আসবেন বলে আমাকে দলীয় নেতারা জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি একটু শান্ত হলেই জেলায় বিরোধীদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাবে না।” এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান। বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে এখন মানুষের পাশে থাকা উচিত। সেখানে তৃণমূলের নেতারা আমফানের টাকা লুট করে রাজনীতি করতে নেমেছে।” প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে পোলেরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাছিভাঙা এলাকায় ইলেকট্রিক সাবসেন্টারকে তৈরিকে কেন্দ্র করে বিশাল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পাওয়ার গ্রিডের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা। ফলে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সেখানে জমি খুব একটা শক্ত করতে পারেনি শাসকদল। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে আন্দোলনকারীরা তৃণমূলে আসায় আশার আলো দেখছে শাসকদল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen