করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের কাজের ভূয়সী প্রশংসা আন্তর্জাতিক সংস্থার
মঙ্গলবার ই-মেইল মারফত ইউনাইটেড নেশন ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাসোসিয়েশন পিস হিউম্যানিটেরিয়ন মিশনের তরফে জানানো হল এই খবর। করোনা যোদ্ধা হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্মান পাচ্ছেন রোগী কল্যান সমিতির সভাপতি নির্মল মাজি। করোনা আবহে মানুষের পাশে থেকে তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমকে সম্মান জানিয়ে এদিন চিঠি পাঠায় জাপানের এই সংস্থা। সূত্রের খবর, সম্ভবত আগামিকালের মধ্যেই সার্টিফিকেট এবং মেডেল পৌঁছে দেওয়া হবে।
এই সম্মান পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ডাঃ নির্মল মাজি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দিদির সততা এবং দায়বদ্ধতার কাজে আমি একজন সৈনিক মাত্র। দিদির কাছেই শিখেছি সারাদিন কীভাবে কাজ করে যেতে হয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে আমি প্রায় ১৮ ঘণ্টাই বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে বেরিয়েছি। কখনও মেডিক্য়াল কলেজ, কখনও বেলেঘাটা আইডি, কখনও বা চিত্তরঞ্জনের মতো হাসপাতাল। সরকারি ক্ষেত্রে কীভাবে মানুষকে ভাল পরিষেবা দেওয়া যায় সেই দিকে খেয়াল রেখেছি, আজকের এই সম্মান আমি আমার পথপদর্শক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করলাম।”
উল্লেখ্য, করোনা আবহে রোগী ভর্তি নিয়ে দালাল চক্রের একাধিক অভিযোগ উঠে রাজ্যের অন্যতম কোবিড হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। এর পরেই নির্মল মাজি জানিয়ে ছিলেন, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার নামে ব্যবসা চলছে। যে সমস্ত অসাধু ডাক্তার এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মানুষের টাকা লুঠছেন ক্লিনিকাল অ্যাস্টাব্লিসমেন্ট আইনের আওতায় তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এরপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একাধিক পদক্ষেপ করেন ডাঃ নির্মল মাঝি। নিজেই নেমে পড়েন ময়দানে। নিয়মিত সারপ্রাইজ ভিজিট শুরু করেন হাসপাতালে। এমনকী রোগী ভর্তির সমস্যাতেও সরাসরি তাঁর ব্যক্তিগত নম্বরেই ফোন করার পরামর্শ দেন তিনি।
ডাঃ নির্মল মাজি আরও জানান যে, এই খবর প্রকাশিত হতেই রোজই শ-য়ে শ-য়ে ফোন পাচ্ছেন তিনি। সাহায্যও করছেন যথাসাধ্য। আর এই সমস্ত কাজেরই স্বীকৃতি দিয়েই সুদূর জাপান থেকে পৌঁছল আমন্ত্রণপত্র। সঙ্গে সম্মান এবং একগুচ্ছ শুভকামনা। মন্ত্রী বলছেন, বাকি দিনগুলোও মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রে এভাবেই সাধারণের পাশে থেকে কাজ করে যেতে চান তিনি।