মাথার পাশে মোবাইল রেখে ঘুমাচ্ছেন? ডেকে আনছেন কোন বিপদ?

মোবাইলের নীলচে আলো মোটেই ভাল নয়। ঘুমের জন্য প্রয়োজন মেলাটোনিন।

February 26, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ঘুমানোর সময় বালিশের নীচে বা পাশে মোবাইল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বালিশের নীচে বা পাশে মোবাইল না রাখলে বাঙালির আর ঘুম আসে না। ঘুমে চোখ বুজে এলেও হাতের মুঠো ফোনটি থাকে অন। ওটি আঁকড়ে ধরেই ঘুমিয়ে পড়েন কেউ কেউ। সকালে ঘুম ভাঙতেই চোখ বুজে খোঁজেন মোবাইল। যাবৎ চোখ খোলা, তাবৎ স্ক্রিনটাইম। সব কিছুই এখন মোবাইল, মুঠো ফোন হয়ে উঠেছে অভ্যাস! যা ডেকে আনছে বিপদ।

নীল আলো ডেকে আনছে ইনসমনিয়া:

মোবাইলের নীলচে আলো মোটেই ভাল নয়। ঘুমের জন্য প্রয়োজন মেলাটোনিন। মোবাইল ফোনের বিকিরণের জেরে মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমে যায়। ঘুমের সার্কাডিয়ান ছন্দ নষ্ট হয়। যার জেরে দেহের নানান শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের ব্যাঘাত ঘটে। এর থেকে ধারাবাহিক অনিদ্রা বা ক্রনিক ইনসমনিয়া হতে পারে। পাশাপাশি পেশিতে টান, পেশিতে ব্যথা, মাথা ধরা-সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

বাড়ছে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: গভীর রাতে ফোনের ব্যবহার স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণকে বাড়িয়ে দেয়। যত রাত গভীর হয়, ততই ফোনের ব্যবহার স্ট্রেস হরমোনকে বাড়ায়। মনে চাপ পড়ে। পরদিনের কাজে মনোনিবেশ কমে যায় না। দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ায়, শরীরের অন্যান্য কাজগুলিতে বাধা আসে। স্ট্রেসঘটিত অসুখ যেমন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি বেড়ে যায়।

এ যুগে ফোন ছাড়া বাঁচা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ঘুমানোর সময় ফোনকে অবশ্যই দূরে রাখতে হবে। স্ক্রিন টাইম কমাতে হবে।

কী কী মেনে চলতে পারেন?

  • ঘুমোনোর সময় ফোন সাইলেন্ট মোডে রাখুন।
  • বিছানা থেকে অন্তত দু’-তিন ফুট দূরে রাখুন ফোন।
  • অ্যালার্ম ঘড়িতে দিন।
  • ঘুমোনোর আগে ই-বুক নয়। দিনের অন্য কোনও সময় ই-বুক পড়ুন।
  • ঘুমানোর আগে বই বা ম্যাগাজিন পড়তে পারেন।
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen