তুমুল বাগযুদ্ধে উত্তাল সংসদ, রাহুলের পর পর ছক্কায় উঠবস মোদী ব্রিগেডের

রামমন্দির থেকে মণিপুর, বেকারত্ব থেকে অগ্নিবীর, নোট বাতিল থেকে জিএসটি, ইডির অপব্যবহার ইস্যুতে সমালোচনার সুর চড়িয়ে এনডিএ সরকার পক্ষকে ঝাঁকিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।

July 2, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
রাহুলের পর পর ছক্কায় উঠবস মোদী ব্রিগেডের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাগযুদ্ধে উত্তাল হল লোকসভা। প্রথমবার বিরোধী দলনেতা হিসেবে অষ্টাদশ লোকসভায় ভাষণ রাহুল গান্ধীর। সোমবার নতুন সংসদ ভবনে দেশ দেখল নজিরবিহীন দৃশ্য। ‘একা’ রাহুলের মোকাবিলায় মোদীর সঙ্গে ময়দানে নামতে হল প্রায় গোটা মন্ত্রিসভাকে। রামমন্দির থেকে মণিপুর, বেকারত্ব থেকে অগ্নিবীর, নোট বাতিল থেকে জিএসটি, ইডির অপব্যবহার ইস্যুতে সমালোচনার সুর চড়িয়ে এনডিএ সরকার পক্ষকে ঝাঁকিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।

শুরুতেই শিবের ছবি দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মোদীকে। সেই সঙ্গে তোলেন দেশজুড়ে হিন্দুত্বের নামে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ। বললেন, ‘ভয় দেখাবেন না। ভয় পাবেনও না। ডরো মৎ, ডরাও মৎ। এটাই হিন্দু, মুসলমান, শিখ, ইসাই, গুরু নানকের বার্তা। আমি সেই পথেই চলি। অহিংসা, অভয় আর সত্যই আমার পথ। আর উল্টো পথে চলে বিজেপি।’ এহেন আগ্রাসী বিরোধী পক্ষের মোকাবিলায় অমিত শাহকে ৫ বার আর মোদীকে ২ বার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ২বার উঠে দাঁড়াতে হল।

রাহুল হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ তুললেই বিজেপি মহলে যেন আগুন ধরে গেল। তাঁর মন্তব্যের পরই হট্টগোল শুরু করে দেন এনডিএ সাংসদরা। নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এই বিষয়টি খুবই গুরুতর। গোটা হিন্দু সম্প্রদায়কে হিংসা ছড়ানোয় অভিযুক্ত করা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদে ফের রাহুল উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, আমি বিজেপি এবং আপনাকে বলেছি। নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি এবং আরএসএস পুরো হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন না। বিজেপিকে কেউ হিন্দু ধর্মের ঠেকা দেয়নি। বিজেপি একাই হিন্দু নয়। আমরা সবাই হিন্দু। আর বিরোধীরা কেউ শত্রু নয়। বিরোধী শক্তি।’

রাহুল গান্ধি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তো ভগবানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে। তিনি সরাসরি ভগবানের সঙ্গে কথা বলেন। পরমাত্মা মোদীজির আত্মার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। আমরা মানুষ, আমাদের জন্ম মৃত্যু আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো নন বায়োলজিক্যাল। এবং তাঁর দাবি মহাত্মা গান্ধি মৃত এবং তাঁকে বাঁচিয়ে তুলেছে একটি সিনেমা। কতটা ঔদ্ধত্য এবং উপেক্ষা থাকলে এই কথা বলা যায়? গান্ধিজির মৃত্যু হয়নি। তিনি এখনও আমাদের মধ্যে ভীষণ ভাবে জীবিত আছেন।’

অগ্নিবীর ইস্যুতেও কেন্দ্রীয় সরকার এবং নরেন্দ্র মোদীর তুলোধনা করেন করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘ছোট একটি পরিবারের সন্তান অগ্নিবীর হয়ে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে শহিদ হলেন। আমি এখানে দাঁড়িয়ে তাঁকে শহিদ বলছি। কিন্তু ভারত সরকার, নরেন্দ্র মোদী তাঁকে শহিদ বলেন না, অগ্নিবীর বলেন। ওই পরিবারটি পেনশন, ক্ষতিপূরণ কিছুই পাবে না। ওই শহিদের তিন বোন একসঙ্গে কাঁদছিলেন। সাধারণ এক সৈনিক পেনশন পাবেন, কিন্তু অগ্নিবীরকে সেনা জওয়ান বলা যাবে না। অগ্নিবীর ইউজ অ্যান্ড থ্রো শ্রমিকের মতো। দু’জন সেনার মধ্যে তফাত গড়ছেন, আবার নিজেদের দেশভক্ত বলেন। এ কেমন দেশভক্তি?’ সংখ্যার নিরিখে এবার বিরোধী ইন্ডিয়া শক্তিশালী। সরকার পক্ষকে রাহুল তুলোধোনা করলেও এদিন তা দমাতে পারেনি মোদী ব্রিগেড।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen