মেডিক্যাল কলেজে ফি মাসে ‘আউটডোর’ রোগীর সংখ্যা কত? চোখ কপালে তোলা পরিসংখ্যান!
বাংলার বিভিন্ন মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট আউটডোর রোগীর সংখ্যা ১ কোটি পার করেছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর মানেই ভিড়েঠাসা ছবি! করোনার সময় ছবি বদলে গেলেও, ফের ফিরেছে চেনা ছবি। এখন ফি মাসে প্রায় ১৮ লক্ষ রোগী হয়। সকাল ৯টায় মেডিক্যাল কলেজগুলির চত্বরে জনসমুদ্রের দেখা মেলে। স্বাস্থ্যদপ্তরের ইতিহাসে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মাসে গড়ে এত রোগী একটা রেকর্ড, এমনই মত স্বাস্থ্যকর্তাদের। বাংলার বিভিন্ন মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট আউটডোর রোগীর সংখ্যা ১ কোটি পার করেছে। এখনও বছর শেষ হতে প্রায় ৬ মাস বাকি! স্বাস্থ্যকর্তাদের আশা, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিসংখ্যান ২ কোটি ছাড়াবে!
কেবল মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিসংখ্যান ধরা হয়েছে। জেলা, মহকুমা, গ্রামীণ হাসপাতাল, সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র ধরলে রোগীর সংখ্যা বিপুল অঙ্কে পৌঁছে যাবে। ইনডোরেও রোগীর সংখ্যা কম নয়! গত বছর ইনডোরে প্রায় ১৯ লক্ষ রোগী হয়েছিল। অর্থাৎ মাসে দেড় লাখেরও বেশি রোগী। চলতি বছর প্রথম ৬ মাসেই রোগীর সংখ্যা ১১ লক্ষ পার করেছে। যা বছর শেষে ২২ লক্ষ পেরিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রোগী বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে খোদ রোগীদের মত, এখন রেফার কিছুটা হলেও কমেছে। রেফার করা হলেও রোগীকে স্থিতিশীল করে পাঠানো হচ্ছে। ওষুধের সরবরাহ অনেক বেড়েছে। বাইরে ওষুধ কিনতে গেলে দামের জেরে ছ্যাঁকা লাগে। সরকারি হাসপাতালের স্টোর থেকে বিনা মূল্যেই ওষুধই মেলে। এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ইউএসজি করানোর ওয়েটিং টাইম কমেছে। আগের মতো ৬ মাস, এক বছর নয়! এখন ৭-১০ দিন, খুব বেশি হলে এক মাসের মধ্যেই পরীক্ষাগুলি বিনা পয়সায় মিলছে।