মোদীকে শাস্তি দিয়ে অধ্যক্ষের ধর্ম পালন করতে পারবেন ওম বিড়লা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিতর্কিত ভিডিও সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন মোদী। যার প্রেক্ষিতে লোকসভায় মোদীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দিয়েছে কংগ্রেস। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর লোকসভায় দাঁড়িয়ে ‘জাতের ঠিক নেই’ বলে অপমান করেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে। অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য লোকসভার রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু অনুরাগের বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধীরা জাতি-জনগণনার দাবি তুলছে, রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে অনুরাগ বলেছিলেন, “যাঁদের নিজেদের জাতের ঠিক নেই, তাঁরাই জাতি জনগণনার দাবি তুলছেন।” অনুরাগের সেই ভাষণের প্রশংসা করেন মোদী। সমাজ মাধ্যমে সেই ভাষণের ভিডিও পোস্ট করেন।
লোকসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক কে সুরেশ বলেন, বাজেট অধিবেশন চলাকালীন, বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অসংসদীয় ভাষার প্রয়োগ করেছেন। গোটা ভাষণে অপমানজনক ভাষায় কথা বলেছেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানানো হয়। লোকসভার চেয়ারম্যান রেকর্ড থেকে অসংসদীয় শব্দগুলি বাদ দেন। কিন্তু বাদ দেওয়া অংশই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মোদী, যা লোকসভার নিয়মের পরিপন্থী।
লোকসভার সেক্রেটারি-জেনারেলের কাছে মোদীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ জমা দেন পঞ্জাবের জলন্ধরের সাংসদ চরণজিৎ সিংহ চান্নি। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতার অমর্যাদা করেছেন অনুরাগ, তাতে উৎসাহ জুগিয়েছেন মোদী। উল্লেখ্য, সংসদের মর্যাদা এবং ন্যায়পরায়ণতা রক্ষার্থে, রক্ষাকবচ হিসেবে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দেওয়া হয়। কোনও নেতা বা মন্ত্রী সংসদের মর্যাদা নষ্ট করলে, ক্ষমতার অপব্যবহার করলে এই নোটিশ দেওয়া হয়। কোনও একজন সাংসদ বা অনেকে মিলে এই নোটিশ দিতে পারেন। সংসদীয় আইনে এর আওতায় দোষী সাব্যস্ত হলে, অভিযুক্তকে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।
স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হলে, লোকসভায় স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন বিষয়টি দেখেন। স্পিকার ও চেয়ারপার্সন যদি মনে করেন অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়। ১৫ সদস্যের কমিটি গড়া হয়, যারা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখেন এবং সেই মতো ব্যবস্থার সুপারিশ করে। অভিযোগ খারিজও করে দিতে পারে ওই কমিটি। এখন দেখার ওম বিড়লা দলের উর্ধ্বে ওঠে স্পিকার ধর্ম পালন করতে পারেন কি-না?