‘মোদী’ রাজার দেশে নাট্যদলের অনুদানে কোপ, রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে থিয়েটার-মহল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার একাধিক নাট্যদলের রেপার্টরি অনুদান বন্ধ করল কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রক। পয়লা আগস্ট একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র, তাতেই স্পষ্ট হয়েছে অনুদান বন্ধের বিষয়টি। ইতিমধ্যেই বাংলার একাধিক নাট্যদল ক্ষুব্ধ। গোটা দেশের একাধিক নাট্যদলের উপরে কোপ পড়েছে। কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে বাংলার প্রায় ৩০টি দল রয়েছে। এহেন পদক্ষেপের পিছনে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’কেই কারণ মনে করছেন নাট্যজগতের একাংশ।
১৮ বছর ধরে কেন্দ্রীয় অনুদান পায় মেঘনাদ ভট্টাচার্যের দল ‘সায়ক’। জানা গিয়েছে, তাঁর দলের ১৮ জনের টাকাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুদান বন্ধের যা যা কারণ দেখানো হয়েছে, তা হাস্যকর। কোনও দলকে বলা হয়েছে, তারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। তাই আর অনুদান মিলবে না। অতীতে কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে কাজ করাকে অনুদান বন্ধের কারণ রূপে তুলে ধরা হয়েছে। বাড়ি তৈরির অনুদান দেওয়ার পর, বাড়ি কেন ভাড়া দেওয়া হচ্ছে, সে’ প্রশ্ন তুলে অনুদান বন্ধ করা হয়েছে।
কোনও কারণ না-জানিয়ে গৌতম হালদারের ‘নয়ে নাটুয়া’ দলের দু’জন সদস্যের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গৌতম এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনি বুঝতে পারছেন না, হঠাৎ করে কেন এমন করা হল? থিয়েটার বাণিজ্যিক মাধ্যম নয়। লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দলকে এগিয়ে যেতে হয়। এহেন ঘটনা অনভিপ্রেত।
দেবেশ চট্টোপাধ্যায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আঁচ পাচ্ছেন। তাঁর দলের ১৭ জনের অনুদান বন্ধ করা হয়েছে। দেবেশ এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তিনি নাকি খুবই প্রভাবশালী। তিনি নাকি কর্পোরেট অনুদানে নাটক করেন! তিনি নাকি ছবি পরিচালনা করেন। তাই অনুদান বন্ধ। দেবেশ জানান, বিজেপি বিরোধিতার জন্যই এমনটা হয়েছে। এটা যদি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা না-হয়, তাহলে কী? প্রশ্ন তুলছেন নাট্যকার।
আগামী ৫ আগস্ট রাজ্যের একাধিক নাট্যদল এ’বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। বৃহত্তর আন্দোলনের পথেও তাঁরা নামতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আসরে নামেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি জানান, অনুদান বন্ধ নিয়ে বিজেপির পক্ষে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই। তিনি এ নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান।