ইসলামিক বাংলাস্তান! পদ্মতীরে কোন জাল বোনা হচ্ছে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অভিযোগ উঠছে ওপার বাংলার ছাত্র আন্দোলন বদলে গিয়েছে লুটতরাজ ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। জেগে উঠেছেন মৌলবাদীরা। চারিদিকে একটাই আওয়াজ, অমুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আর গড়তে হবে ‘ইসলামিক বাংলাস্তান’। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের একটা বড় অংশ, বিহারের কিষানগঞ্জ, কাটিহার, নেপালের ঝাপা, মায়ানমারের রাখাইন ও আরাকান অঞ্চল, আন্দামানের কিছু অংশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম এবং মণিপুরের কিছু অংশ নিয়ে প্রস্তাবিত বাংলাস্তান। যা তৈরি করতে, ফেসবুক-এক্সে আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রচার চলছে, প্রস্তাবিত বাংলাস্তানের সরকারি ভাষা হবে আরবি ও উর্দু।
ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় শহরের প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল আরবি ভাষায় সেজে উঠছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানাচ্ছেন। গোয়েন্দারা বলছেন, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জেহাদি-ইসলামি (হুজি), জামাতুল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), হেফাজতে ইসলাম এবং জামাতপন্থীরা বৃহত্তর বাংলাদেশ, কখনও মোঘলস্তান, আবার কখনও মুসলমানবাদ গঠনের দাবি জানাচ্ছিল। যার নব্য সংস্করণ বাংলাস্তান।
গোয়েন্দারা বলছেন, সমাজমাধ্যমে বাংলাদেশিদের একাংশের তৎপরতা চরমে। পাকিস্তানের পেশোয়ার, করাচি, লাহোর ও কোয়েটার কট্টর ভারত বিরোধী কয়েকজন ‘ব্লগার’ এ’সবে সামিল হয়েছেন। জেএমবি ও হুজির জেলখাটা জঙ্গিরাও একাজে নেমেছে। ধর্মান্ধ নেটিজেনরা দেশের নতুন নামকরণ ও নতুন জাতীয় সঙ্গীতের পক্ষে। তারা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছেন।