সিবিআই আরও তৎপর হোক, চাইছেন আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৮ অগস্ট মধ্যরাত থেকে ২৩ অগস্ট। মাঝে ১৫ দিন অতিক্রান্ত। আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তভার গ্রহণের পরও আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত বিশেষ এগোয়নি বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। একই মত নির্যাতিতার পরিবারেরও। শুক্রবার তাঁরা বলেন, ‘আমরাও সিবিআই তদন্ত নিয়ে ক্রমশ ধৈর্য হারাচ্ছি। তারা তো এখনও ঘটনার কোনও কিনারাই করতে পারেনি। তাদের উপর আস্থা রেখেছিলাম। তারা ভালো তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে দৃষ্টান্ত তৈরি করুক।’
এদিন নিহত চিকিৎসকের বাবা ও মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিসের উপর আস্থা উঠে গিয়েছিল বলেই আমরা ভালো এজেন্সি দিয়ে তদন্ত চেয়েছিলাম। আমরাও ধৈর্য হারাচ্ছি। কিন্তু ১৪ দিন হয়ে গেল, পুলিসের হাতে সেই একজন ছাড়া আর কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সিবিআইয়ের উপর মানুষের যে আস্থা রয়েছে, তার সম্মান রেখে দ্রুত তদন্ত শেষ করুক ওরা।’ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দালাল চক্র সক্রিয় বলে এদিন অভিযোগ করেছেন তাঁরা। পুলিস ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন, ‘প্রথম থেকেই প্রশাসন যে গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে চলছিল, সেটা সুপ্রিম কোর্টও বলেছে। গোটা দেশ সেটা এখন জেনে গিয়েছে। ঘটনাস্থলের তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছিল। তা না হলে সিবিআইয়ের এতদিন হয়তো সময় লাগত না। সেই জন্যই হয়তো সিবিআই এখন পলিগ্রাফ টেস্টের মতো পদ্ধতিতে তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করছে।’
মেয়ের দেহ দেখতে না দিয়ে কেন চার ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল? কেন প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল? কর্মস্থলে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন, অথচ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ক্রাইম সিন সুরক্ষিত করল না কেন? কাকে আড়াল করা হচ্ছে? সেই প্রভাবশালী কে? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, গণধর্ষণ হয়ে থাকতে পারে, অথচ সঞ্জয় ছাড়া আর কাউকে কেন ধরা যাচ্ছে না? এমনই হাজারও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের মনে।
বলছেন, “সত্যি মিথ্যা জানি না। তবে কিছু একটা আড়াল করার চেষ্টা যে হয়েছে, সেটা তো সারা দেশ বুঝতে পারছে। শীর্ষ আদালতও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।”
নির্যাতিতার মা চোখের জল মুছতে মুছতে বলছিলেন, “সিবিআইয়ে এখনও আস্থা রয়েছে। তবু মাঝে মধ্যে ধৈর্য্য হারা হয়ে যাচ্ছি! কোলের সন্তানটা আর নেই, তদন্তকারীদের বলব, একটু দ্রুত তদন্ত করুন, অপরাধীরা না ছাড়া পেয়ে যায়!”