দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের ঘাটতি হতে চলেছে ৬০ হাজার কোটি টাকা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের ঘাটতি হতে চলেছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিকে এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। আর্থিক সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস জানিয়েছে, প্রধানত দুটি কারণে ভারতের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের এই হাল। নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি অন্যতম কারণ। ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স তো আছেই, ওষুধের কাঁচামাল আমদানি বেড়ে গিয়েছে গত ৬ মাসে।
দ্বিতীয় যে কারণে এই বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে, সেটি হল, বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে উৎপাদন সেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার মতো শিল্পোৎপাদন করা যায়নি। আর তারই ফলশ্রুতি হয়েছিল ২১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়ে গিয়েছে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ঘাটতি। কেন্দ্রীয় অর্থ এবং শিল্প বাণিজ্যি মন্ত্রকের কাছে সবথেকে বড় উদ্বেগ হল, আত্মনির্ভরতার জন্য একঝাঁক সেক্টরে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হলেও বিগত তিন বছর ধরে এমন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়নি যা ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে পূর্ণ করতে পারবে। উলটে নিত্যব্যবহার্য ভোগ্যপণ্য এবং প্রাত্যহিক খাদ্যপণ্যও আমদানির পরিমাণ বেড়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ।
ভোগ্য পণ্য নয়, এরকম পণ্যের আমদানি বেড়েছে ১১.৬ শতাংশ। বাংলাদেশে ভারত পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের রপ্তানি করে থাকে। সেই রপ্তানি বন্ধ। পেট্রলিয়াম পণ্য এবং বস্ত্রশিল্পের কাঁচামাল তথা ওষুধ শিল্পের উপকরণ। এই তিন সেক্টরের রপ্তানি ধাক্কা খেয়েছে। বাংলাদেশে হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদল আপাতত দ্রুত কোনও সুস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে ভারত সরকার মনে করছে না। সেই কারণেই অর্থমন্ত্রক এবং শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এশিয়ার অন্য দেশে আরও বেশি করে রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্যতম প্রধান উদ্বেগ আগেও যা ছিল, নতুন পরিসংখ্যানেও তাই থাকছে। সেটি হল চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি প্রতি ত্রৈমাসিকেই বেড়ে চলেছে। আর্থিক বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়সীমায় বেড়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। সোজা কথায় চীন থেকে ভারত আমদানি করছে অনেক বেশি। সেই তুলনায় চীনে ভারত নগণ্য পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হচ্ছে।